
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার পোরকরা গ্রামে একসাথে তিন জোড়া তরুণ-তরুণীর যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ বাদ যোহর নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী শহীদী জামে মসজিদে এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
বিয়ে উপলক্ষে পোরকরা গ্রামে ছিল সাজ সাজ রব। আনন্দ, উৎসবের কোন কমতি ছিল না আয়োজনে। এদিন এলাকাবাসী ও বর-কনের আত্মীয় পরিজনদের জন্য ওয়ালিমার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বর-কনের আত্মীয় স্বজন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের পিঁড়িতে বসা নবদম্পতিরা হলেন- মো. আব্দুল হাদি ও মোছা: এমিলি খাতুন; মো. সুরুজ আলী ও মোছা: সুমি আক্তার; মো. আবীর হাসান ও মোছা: ইমা ইসলাম। বর ও কনের পরিবারের উপস্থিতিতে ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক এ বিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তবে এ বিয়ের বিশেষ উল্লেখযোগ্য দিক হলো- এ বিয়েতে কোনো যৌতুকের লেনদেন হয়নি, বিয়ে পড়িয়ে কেউ অর্থ গ্রহণ করেনি। পছন্দের ব্যাপারে পাত্র-পাত্রীর পারস্পারিক স্বাচ্ছন্দ্য ও মতামতের ভিত্তিতে প্রস্তাব দেওয়া এবং মোহরানা নগদ পরিশোধ করে বিয়ে সংঘটিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর-কনের সবাই অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদের সদস্য। তাই এ বিয়ে হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়। এসময় তিনি সকলের উদ্দেশে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, বিয়ে হলো এক পবিত্র সম্পর্ক, আল্লাহর হুকুম-বিধান, কোর’আনের নির্দেশনা ও প্রকৃত ইসলামের শরিয়াহকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যদি বিয়েতে কেউ যৌতুকের আদান-প্রদান করে, মোহরানা পরিশোধ না করে, স্বাক্ষী উপস্থিত না রাখে এবং বিয়ে পড়ানোর বিনিময়ে কোনো ধর্মব্যবসায়ীকে অর্থ প্রদান করে ধর্মব্যবসার পথ প্রশস্ত করে তবে সেই বিয়ে আর পবিত্র থাকে না। রসুলাল্লাহ (সা.) ও তাঁর আসহাবদের যুগে বিয়ে হতো সম্পূর্ণ মোহরানা পরিশোধ করে, যৌতুকের তো কোনো প্রশ্নই ছিল না এবং বিয়ে পড়িয়ে অর্থ গ্রহণ ছিল ধারণারও অতীত। বিয়ে অনুষ্ঠানে সামর্থ্য অনুসারে মানুষকে খাওয়ানো হতো যাকে বলে ওয়ালিমা। আমরা প্রতিটা পদক্ষেপে রসুলাল্লাহ (সা.) কে অনুসরণ করার চেষ্টা করি।
তিনি আরো বলেন, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারো বিয়ের প্রয়োজন হলে পরিবারকে জানাবে, আন্দোলনকে জানাবে, পাত্র-পাত্রী দেখবে, পছন্দ করবে, সামর্থ্য না থাকলে আমরা সকলে মিলে বিয়ের ব্যবস্থা করব ইনশা’আল্লাহ। সামাজিকভাবে সামর্থ্য অনুসারে ধুমধামের সাথে বিয়ে হবে ইনশাল্লাহ। আর বিয়ের আগে অবশ্যই কোন না কোন কর্ম করতে হবে, বেকার থাকা চলবে না।