
ঢাকার ধামরাই উপজেলার নান্নার সূয়াপুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার ইসলাম তালুকদারের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে সূয়াপুর নান্নার রাস্তায় মানববন্ধন করেছে শত শত শিক্ষার্থী। এ সময় প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন মানববন্ধনকারীরা। গতকাল বুধবার এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের দাবি একটাই আনোয়ার ইসলাম তালুকদার স্যার যে পর্যন্ত পদত্যাগ না করবে সে পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। তিনি প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের সাথে এবং শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। কোন ছাত্র ছাত্রী ভালো রেজাল্ট করলে সে হাফ বেতনে পড়ার সুযোগ পায় বা গরীব অসহায় শিক্ষার্থীরাও হাফ বেতনে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে কিন্তু আমাদের এই নান্নার সূয়াপুর স্কুল এন্ড কলেজ ভিন্ন। এখানে হাফ বেতনে পড়ার কোন সুযোগ নেই বললেই চলে। কেউ যদি রিকুয়েষ্ট করত বেতন কমিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে অপমানিত হতে হত। স্কুলের কোন শিক্ষক তার কথার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারতো না। তিনি যেভাবে ইচ্ছে সে ভাবেই স্কুল পরিচালনা করতো, কেউ বাধা নিতে পারত না। তাই আমরা চাই অতি দ্রুত তিনি পদত্যাগ করে বিদায় নিয়ে চলে যাক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সে কত টাকা দুর্নীতি করেছে তার হিসাব ও দিয়ে যেতে হবে।
এ সময় স্কুলের এক শিক্ষিকা দাবি করেন, আমি যখন মাতৃত্ব কালীন ছুটিতে ছিলাম দুই মাস যেতে না যেতেই প্রধান শিক্ষক আমাকে বলে স্কুলে আসার জন্য। আমি তখন বললাম আমার ছুটি তো ছয় মাসের কিন্তু তিনি আমার কোন কথা শুনেন না। পরে বাধ্য হয়ে আমি জয়েন করি। কিন্তু তিনি আবার আমাকে বলে এক মাসের ছুটিতে থাকতে আমি অফিস করলে আমাকে ঈদ বোনাস। পহেলা বৈশাখের ভাতা দিতে হবে তাই আমাকে আবার জোর পূর্বক ভাবে ছুটি দেয়। তখন এর প্রতিবাদ কেউ করতে পারেনি তার ভয়ে।
মানববন্ধনকারীদের দাবি, শিক্ষার্থীদের মাথায় স্কাফ পরিহিত নিষেধ করাসহ বোরখা পরা ছাত্রীদের জন্যে একেবারেই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। শালীনতামুলক পোষাক ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এমনও কথা বলা হয় বোরখা পরা আর স্কাফ পরা মানেই জঙ্গি তৎপরতার সাথে জড়িত থাকা। শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে নামাজ আদায় করতে চাইলে সরাসরি নিষেধ করে দিয়েছেন ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন তালুকদার।
মানববন্ধনে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরাও তার পদত্যাগ চেয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।