Date: May 08, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / চট্টগ্রাম / ফেনী ছাগলনাইয়া পোলট্রি ফার্মের মালিক আবুল কাসেমকে পিটিয়ে হত্যা - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

ফেনী ছাগলনাইয়া পোলট্রি ফার্মের মালিক আবুল কাসেমকে পিটিয়ে হত্যা

February 19, 2024 07:54:12 PM   জেলা প্রতিনিধি
ফেনী ছাগলনাইয়া  পোলট্রি ফার্মের মালিক আবুল কাসেমকে পিটিয়ে হত্যা

আনোয়ার হোসেন। ফেনী।

খামারির মুরগি বিক্রির টাকা হাতিয়ে নিতে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা। ফেনীর ছাগলনাইয়ায় খামারের মুরগি বিক্রির টাকা না দেওয়ায় মাথায় আঘাত করে আবুল কাসেম নামে এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী হত্যা করা হয়েছে। ক্লু-লেস এ হত্যাকাণ্ডের একদিন পরই মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন, ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়ন এর জয়নগর গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তফার ছেলে আলাউদ্দিন মিন্টু এবং ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বেদরাবাদ শিলুয়া গ্রামের খুরশিদ আলমের ছেলে দ্বীন মোহাম্মদ নয়ন। রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা পোল্ট্রি ব্যবসায়ী আবুল কাসেমের পূর্ব পরিচিত। আরও একজন সহ তারা মোট চারজন একসাথে প্রায় সময় খামারের পাশে আড্ডা দিতেন। হত্যাকাণ্ডের দু'দিন আগে আবুল কাসেম তার খামারের চার লাখ ৫৭ হাজার টাকার মুরগি বিক্রি করেন। মুরগি বিক্রির টাকা হাতিয়ে নিতে গ্রেপ্তার আসামিরা নানা ফন্দি আঁটতে শুরু করেন। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে তারা খামারের পাশে বসে আবুল কাসেমকে নিয়ে কিছুক্ষণ আড্ডা দেন। এক পর্যায়ে তারা মুরগি বিক্রির টাকা দিতে তাকে চাপ দিতে থাকেন।

টাকা ব্যাংকে এবং এ মুহূর্তে তার কাছে টাকা নেই বলার পরও তারা বিশ্বাস করেনি। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে আলাউদ্দিন মিন্টু আবুল কাসেমের মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় দ্বীন মোহাম্মদ নয়ন ও পলাতক অন্যজন তাকে লাথি, কিল-ঘুষি মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে পার্শ্ববর্তী কালিদাস পাহালিয়া খালে মরদেহ ফেলে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা আলামতের সূত্র ধরে ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে হত্যাকাণ্ডে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা আদালতে জবানবন্দি দেবেন। পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যা কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপর আসামির নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তার দুইজনকে জবানবন্দি নেওয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে আবুল কাসেম বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তার পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার ভোররাতে তার মরদেহ খালে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন তারা। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ফেনী হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। শুক্রবার আবুল কাসেমের স্ত্রী লিজা আক্তার বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।