
পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে ফেনীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে জমে উঠেছে বেচাকেনা। জেলার বিভিন্ন হাটে দেশীয় গরু, মহিষ, ছাগলসহ নানা ধরনের কোরবানির পশু উঠতে শুরু করেছে। বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের পদচারণায় চাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ফেনী জেলায় কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় পশুর চাহিদা প্রায় ৮২ হাজার ৩৩৬টি। এর বিপরীতে খামারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ৮৭ হাজার ২২৭টি গবাদি পশু। এর মধ্যে ৬৯ হাজার ৩৬০টি গরু, ১ হাজার ৬৬৭টি মহিষ, ১৩ হাজার ২৪৩টি ছাগল ও ৩ হাজার ১৪৭টি ভেড়া রয়েছে।
জেলার ফেনী শহর, দাগনভূঞা, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও সোনাগাজীর বড় বড় হাটগুলোতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ হাটগুলোর মধ্যে সিও অফিস বাজার, রানীরহাট, মোহাম্মদ আলী বাজার, আমতলী বাজার ও কাজীরবাগ উল্লেখযোগ্য।
ফেনী সদর উপজেলার এক খামারি মো. সাইফুল বলেন, “গত বছর লাভ ভালো হওয়ায় এবার আগেই গরু পালন শুরু করি। বাজারও ভালো যাচ্ছে, তবে খাবার ও চিকিৎসার খরচ বেড়ে গেছে।”
অন্যদিকে, ক্রেতারা জানিয়েছেন, এ বছর দাম কিছুটা বেশি হলেও পশুর মান ভালো থাকায় তাঁরা আপস করছেন। একজন ক্রেতা বলেন, “গরুর দাম কিছুটা চড়া হলেও স্বাস্থ্য ভালো, তাই মানিয়ে নিচ্ছি।”
জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানিয়েছে, হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ওজন নির্ধারণ ও ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পশু পরিবহন ও হাট ব্যবস্থাপনায় ভেটেরিনারি টিম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত কাজ করছে।