
ঝালকাঠি সংবাদদাতা:
সেলিম তালুকদার হত্যার পেছনে যারা জড়িত, সেই ফ্যাসিস্ট-জালিমদের বিচার নিশ্চিত দেখতে চান জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, "বাংলাদেশ পেনাল কোডে যে ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে, আমরা সেই সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি। গড়িমসি করে সময় ক্ষেপণ করার দরকার নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে খুনের পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা এবং বাস্তবায়নকারীদের বিচারের আওতায় দেখতে চাই।"
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবের সামনে জেলা জামায়াত আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারে থেকে যারা নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, "সেলিম তালুকদারের জন্ম রমজান মাসে। এজন্য তার আরেকটি নাম রয়েছে ‘রমজান’, যা ফার্সি শব্দ। কুরআনের ভাষায় এটি সাওম বা সিয়াম। সবকিছু বিবেচনা করে শহীদ সেলিম তালুকদারের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তার নবজাতক কন্যার নাম হবে ‘সাইমা সেলিম রোজা’। এখন থেকে সে এই নামেই পরিচিত হবে।" তিনি বলেন, "শিশুটি শহীদের সন্তান হিসেবে মর্যাদার সঙ্গে বড় হবে, ইনশাআল্লাহ। যার বাবা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, সেই সন্তানও যেন বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ভালো মানুষ ও দেশপ্রেমিক হয়ে বেড়ে উঠতে পারে। আল্লাহ যেন তাকে জাতির খেদমতের উপযুক্ত করে গড়ে তোলেন।"
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন ঝালকাঠি জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল অঞ্চল পরিচালক ও সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসেন হেলাল, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বরিশাল জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আ. জব্বার এবং শহীদ সেলিম তালুকদারের পিতা সুলতান হোসেন তালুকদার।
এছাড়া বক্তব্য দেন মালয়েশিয়া প্রবাসী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. ফয়জুল হক, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট বিএম আমিনুল ইসলাম, জামায়াত মনোনীত ঝালকাঠি-২ (সদর-নলছিটি) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শেখ নেয়ামুল করীম, ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনের সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন প্রমুখ।
পথসভা শেষে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান শহীদ সেলিম তালুকদারের স্ত্রী সুমী আক্তারের পিত্রালয়ে যান এবং নবজাতক রোজাকে কোলে তুলে নেন। এসময় সালামী স্বরূপ তাকে শুভেচ্ছা উপহার দেন এবং জানান, জামায়াত সবসময় এই পরিবারের পাশে থাকবে।