
রাহাত চৌধুরী:
কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় বাক প্রতিবন্ধী তরুণী (২১) কে ধর্ষণের অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে লালমাই থানা পুলিশ। ভুক্তভোগীর বাবা দুজনের নাম উল্লেখ করে লালমাই থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি মো. জাহাঙ্গীরকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের পোহনকুচা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে। মামলায় দ্বিতীয় আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে একই গ্রামের মৃত রজ্জব আলীর ছেলে বাহার মিয়া (৫৫), যিনি এখনও পলাতক রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর বাবা আলী আক্কাস জানান, গত দুই বছর ধরে আসামিরা আমার মেয়ের প্রতি কু-নজর দিয়ে আসছিল। তারা বিভিন্ন সময় প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করত। বাহার মিয়াকে একবার সতর্কও করেছিলাম। কিন্তু গতকাল সকালে আমরা ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে তারা আমার মেয়েকে চিপস কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নির্মাণাধীন ভবনের লেবার রুমে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই এবং পলাতক আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি মো. জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার দ্বিতীয় আসামি বাহার মিয়া এখনও পলাতক, তবে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এছাড়া, ভুক্তভোগী তরুণীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।