
বরিশালে পবিত্র রমজানের প্রথম দিন থেকেই নগরীর ১০টি পয়েন্টে ট্রাকসেলের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতিটি স্থানে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। তবে ট্রাকে সরবরাহ কম থাকায় অধিকাংশ মানুষ কাঙ্ক্ষিত পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। কিছু স্থানে লাইনে দীর্ঘ অপেক্ষার পর পণ্য না পাওয়ায় বাদানুবাদের ঘটনাও ঘটছে।
বরিশাল নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোলায়মান ব্যাপারী গতকাল দুপুর আড়াইটায় বাকলার মোড়ে টিসিবির ট্রাকের সামনে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি কোনো পণ্য পাননি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “সারা দিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও খালি হাতে ফিরতে হলো। সবাইকে পণ্য দিতে না পারলে আগেই ঘোষণা দেওয়া উচিত ছিল।”
টিসিবির ডিলার নাসির উদ্দিন জানান, নগরীর ঘনবসতি ও দরিদ্র এলাকায় ট্রাকসেলিং করা হয়। তবে ট্রাকসেলের খবর পেয়ে যে পরিমাণ মানুষ ভিড় করেন, তার তুলনায় পণ্য সরবরাহ অনেক কম। প্রতিটি পয়েন্টে প্রায় ৪০০ থেকে ৬০০ জন উপস্থিত হলেও ডিলাররা মাত্র ২০০ জনের জন্য বরাদ্দকৃত পণ্য পান। ফলে বেশিরভাগ মানুষকে খালি হাতে ফিরতে হয়, যার ফলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ডিলারদের।
টিসিবি সূত্র জানায়, প্রথম রমজান থেকে বরিশালে ট্রাকসেলিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখানে ক্রেতারা ৭০ টাকায় এক কেজি চিনি, ১২০ টাকায় দুই কেজি মসুর ডাল, ২০০ টাকায় দুই লিটার সয়াবিন তেল, ১২০ টাকায় দুই কেজি ছোলা এবং ৫০০ গ্রাম খেজুর ৮০ টাকায় কিনতে পারেন। বাজারের তুলনায় এসব পণ্যের দাম অনেক কম হওয়ায় ভোক্তাদের চাহিদা বেশি।
টিসিবির বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শতদল মণ্ডল জানান, রমজানের শুরু থেকে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতদিন প্রতিটি ট্রাকে ২০০ জনের জন্য পণ্য বরাদ্দ ছিল, তবে আগামী দিনে তা দ্বিগুণ করা হবে। অর্থাৎ ৪০০ জনের জন্য পণ্য সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি বরিশালের ১০ উপজেলায় ট্রাকসেলিং কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বরিশাল নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের জন্য ইতোমধ্যে ৩১ হাজার ৫৭৪টি স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। নতুন ও বাতিল হওয়া পরিবারের জন্য স্মার্ট কার্ড প্রদান কার্যক্রমও চলমান রয়েছে।