
বরিশাল সদর সংবাদদাতা:
বরিশালের মিরগঞ্জ ইউনিয়নে নদীর ভয়াবহ ভাঙনে কয়েক হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। পাঁচ বছর ধরে চলমান এই ভাঙন এলাকার রাস্তা, বসতভিটা ও গবাদি পশু কেড়ে নিয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে স্থানীয় জনগণকে। ভাঙনের কারণে মিরগঞ্জের রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে জনচলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিনিয়ত তাদের বাড়িঘর নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাটও ভাঙনের শিকার হয়ে চলাচলে দুর্বিষহ কষ্ট হচ্ছে এলাকাবাসীর। এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনো কার্যকর ভূমিকা না থাকায় মানুষের অসহায়ত্ব আরও বেড়েছে।
মিরগঞ্জের বাসিন্দা মোঃ করিম মিয়া বলেন, "আমাদের চেয়ারম্যান-মেম্বার কেউই কোনো খোঁজ নেয় না। প্রতিদিনই নদীর ভাঙনে বাড়িঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে, আর আমাদের কষ্ট কেউ দেখে না।"
আরেক বাসিন্দা আঃ আলী হাওলাদার বলেন, "আমরা ভাঙনের কারণে খুব কষ্টে আছি। টাকা-পয়সার অভাবে কীভাবে দিন কাটাচ্ছি তা কল্পনা করা কঠিন। কেউ আমাদের দিকে তাকাচ্ছে না। এই ভাঙনের কোনো প্রতিরোধ কবে হবে, আমরা জানি না।"
মিরগঞ্জের এই নদী ভাঙন এলাকাবাসীর জীবনে এক অনবরত দুর্যোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তা, বসতভিটা ও যাবতীয় সম্পদ হারিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ার কারণে চলাচলের সুবিধা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই ভাঙন প্রতিরোধে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। চেয়ারম্যান-মেম্বারের অবহেলার কারণে তারা অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। ভাঙনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয় আসতে পারে বলে স্থানীয়দের আশঙ্কা।
এলাকার মানুষ এখন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে। তারা আশাবাদী যে, যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই ভয়াবহ ভাঙন রোধ করা হবে এবং তাদের জীবনের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।