দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনৈতিক সংস্কার বিষয়ক টাস্কফোর্স।
সম্প্রতি টাস্কফোর্স তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে "অর্থনীতির পুনর্কৌশলীকরণ এবং ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সম্পদ সহজলভ্যকরণ" শীর্ষক প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থিতিশীল শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা উচিত।
এছাড়া, প্রতিবেদন অনুযায়ী-
- বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা: সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এসএটি ও জিআরই ভিত্তিক একক ভর্তি পরীক্ষা চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।
- শিক্ষার মানোন্নয়ন: প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারি, বেসরকারি খাত ও এনজিওগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।
- ইংরেজি ভাষার ব্যবহার বৃদ্ধি: বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার বাড়াতে সরকারকে উৎসাহিত করা হয়েছে, যাতে বিদেশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা যায়।
- বিশ্ববিদ্যালয় একীভূতকরণ: সীমিত বাজেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কিছু পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় একীভূত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
- অটো পাস ও প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা: পাবলিক পরীক্ষায় অটো পাস বাতিল এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের ৩ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সুপারিশ করা হয়েছে।
- শিক্ষকদের নিয়োগ ও পদোন্নতি: সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি শুধুমাত্র মেধা ও কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে করার সুপারিশ করা হয়েছে।
টাস্কফোর্সের মতে, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও অর্থনীতির টেকসই বিকাশ নিশ্চিত করতে এসব সংস্কার জরুরি।