
শরীয়তপুর (জাজিরা) প্রতিনিধি: খালাতো ভাইয়ের সাথে দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। এরমধ্যে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন বহুবার। ভেঙেছেন নিজের একাধিক বিয়ের সম্মন্ধ। সবশেষ বিয়ের দাবীতে প্রেমিক খালাতো ভাইয়ের বাসায় তিনদিন ধরে অনশন অনশন করছেন ওই তরুনী। ঘটনার পর পলাতক রয়েছেন প্রেমিক আল আমিন (৩০)।
ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নে। প্রেমিক আল আমিন ঐ ইউনিয়নের আহসানউল্লা মুন্সি কান্দির দানেশ মুন্সির ছেলে।
বিয়ের দাবীতে অনশন করা তরুনীর দাবি প্রেমিক আল আমিন তার চাচতো খালাতো ভাই হয়। সে ঢাকায় ইলেক্ট্রিক তারের ব্যাবসা করেন। প্রথমে আত্মীয় হিসেবে কথাবার্তা হতো আল আমিনের। পরে সে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। এরপর নড়িয়া, শরীয়তপুর সদরসহ একাধিক জায়গায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন তার সাথে। গত শনিবার (১৩-এপ্রিল) তাকে বিয়ের জন্য বাড়ি থেকে কিছু টাকাপয়সা নিয়ে আসতে বলেন আল আমিন। ওইদিন বিয়ের জন্য কাজি অফিসেও গেছিলেন তারা। তবে আল আমিনের ভাই জাকির মুন্সি (৪০) কাজি অফিসে গিয়ে জোর করে আল আমিনকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এবং ওইদিনই ঢাকায় পাঠায়ে দেয়। বর্তমানে আল আমিনের সাথে যোগাযোগ নেই বলে জানায় ওই তরুণী।
শুধু তাই নয় তরুণীর দাবী, তিনি বিয়ের দাবীতে অনশন করার পর স্থানীয় লোকজন নিয়ে তাকে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি সমাধান করতে বলেছেন। তবে তিনি টাকা নয়, চান আল আমিনকেই। এসময় বিয়ে ছাড়া বাড়ি থেকে বের হবেন না বলে জানান তিনি। কেউ বের হতে বললে আত্মহত্যা করবেন বলেও জানায় অনশন করা তরুনী।
এদিকে বিয়ের দাবীতে অনশন শুরুর পরই বাড়ি থেকে পালিয়েছে প্রেমিক আল আমিন। আল আমিনের মায়ের দাবি তার ছেলে একটু সহজসরল। তার ছেলে ওই মেয়েকে শুধুই খালাতো বোন ভাবতো। বোন মনে করেই মাঝেমধ্যে ঘুরতে যেতো। এর বাইরে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিলো না। টাকা পয়সা দিয়ে রফাদফা করার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে, তিনি এবিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
বিয়ের দাবীতে অনশন করা তরুনী সম্পর্কে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আমি মুঠোফোনে শুনেছি। মেয়েটি নিরাপদে তার খালার বাসায় অবস্থান করছে। এবিষয়ে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। মেয়িটি যদি অভিযোগ করে, তাহলে আমরা তাকে আইনি ভাবে সহোযোগিতা করবো।