
মিন্টু হোসাইন:
ভেড়ামারা পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সঞ্জয় প্রামানিক নিহত হওয়ার পর ভেড়ামারায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। চারিদিকে পরিস্থিতি থমথমে অবস্থায় রয়েছে।
২ আগস্ট রাত ১১টায় উপজেলা শহরের গোডাউন মোড় এলাকায় পূর্ব বিরোধের জেরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) যুবজোটের জেলা ক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শোভন ও তার লোকজন সঞ্জয় কুমার প্রামাণিককে গুলি করে। হামলার ঘটনায় বেলাল হোসেন (৩৬) ও শ্যামল সরদার নামে আরও দুই কর্মী আহত হন। এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার ঘটনার পর পরই ভেড়ামারা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হামলার মূল নায়ক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) যুবজোটের জেলা ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান শোভনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের আহত নেতাকর্মীরা হলেন, জাকির, শিপন, রিমন, আকাশ, পিয়াস, সুলতান, মাসূক। এ ঘটনায় একজন পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। তাকে হাসপাতাল জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।সংঘর্ষের সময় সাধারণ পথচারীরাও অনেকেই আহত হয়েছেন, সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানা যায়, ভেড়ামারা শহরে কুষ্টিয়ার রিজার্ভ পুলিশ, ডিবি পুলিশ সহ বিপুল সংখ্যক ফোর্স পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভেড়ামারা শহরের কয়েকটি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বাহিনীর তৎপরতায় এখন অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। শহরবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। বাজারমুখো মানুষ বলতে কেউ নাই এবং শহরে বাস সিএনজি অটোরিকশা সবকিছু চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ভেড়ামারা থানার ওসি জহিরুল ইসলাম বলেন, সঞ্জয় কুমার প্রামাণিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এ জন্য ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলায় পাঁচ আসামি কারাগারে, বাকিরা জামিন পেয়েছেন।