
ফেনীতে অপহরণের চার দিন পর ডোবা থেকে আহনাফ আল নাশিত (১০) নামের এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরতলীর দেওয়ানগঞ্জ রেললাইনের পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সালাহউদ্দিন মোড় এলাকার আশরাফ হোসেন তুষার (২০), মো. মোবারক হোসেন ওয়াসিম (২০) ও ওমর ফারুক রিফাত (২০)। নিহত নাশিত ফুলগাজী উপজেলার জয়পুর গ্রামের মাঈন উদ্দিন সোহাগের ছেলে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৮ ডিসেম্বর (রবিবার) বিকেলে কোচিং শেষে বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হয় নাশিত। তাকে দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় নিয়ে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে অচেতন করা হয়। এরপর তার ছবি তুলে মুক্তিপণ হিসেবে ১২ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় অপহরণকারীরা নাশিতকে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং তার মরদেহ রেললাইনের পাশের ডোবায় ফেলে রাখে।
“বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে তুষারকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হলে তার দেওয়া তথ্যমতে দেওয়ানগঞ্জ এলাকার ডোবা থেকে নাশিতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অপর দুই আসামিকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
নিহত নাশিতের বাবা মাঈন উদ্দিন সোহাগ বলেন, ‘‘আমি মুক্তিপণের টাকা দিতেও রাজি ছিলাম। তারপরও তারা আমার ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলল।’’
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান জানান, নাশিতের বড় ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয়ের সুবাদে আসামি তুষার নিহতের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছিল। মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণের পর নাশিতকে হত্যা করা হয়।
এ মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।