
মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরায় শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের হামলায় আ.লীগ নেতা চরম ভাবে আহত হয়েছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা আঃলীগের সদস্য ও নহাটা ইউনিয়ন আঃলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান গত শনিবার নহাটা এজি সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ শেষে মটর সাইকেল নিয়ে বের হলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দূর্বৃত্তরা তার উপরে হামলা চালায়। এতে তার ঠোঁট কেঁটে দুই ভাগ হয়ে প্রচুর পরিমাণ রক্ত বের হয়। এসময় তার মাথা ও পায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করা। মাথায় হেলমেট থাকার কারণে সেখানে কোন আঘাত না লাগলেও পায়ে বেশ কয়েকটি আঘাত লাগে।
হাবিবুর রহমান জানান, আমি নামাজ পড়ে বের হওয়ার সাথে সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান তুরাপ সমর্থক নহাটা গ্রামের আতর আলী ওরফে কালাই ও ইন্দ্রপুর গ্রামের আনোয়ারসহ বেশ কয়েকজন কোন কথা বার্তা ছাড়াই আমার উপর হামলা চালায়। তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে একের পর এক আমার উপর আঘাত করতে থাকে। এতে আমার ঠোঁট ও পায়ে মারাত্মক জখম হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আঃলীগের সভাপতি এ্যাড.আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল সিদ্দিকী লিটন এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই হামলার সাথে যারা জড়িত প্রশাসন তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ দাবি করেন।
হাবিবুর রহমান নহাটা ইউপির দরিসালধা গ্রামের মোকাদ্দেস বিশ্বাসের ছেলে। তিনি মহম্মদপুর উপজেলা বিআরডিবির সভাপতি ও উপজেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক এবং নহাটা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিদ্দিকী লিটনের সমার্থক।
জানা গেছে, বছর দুই আগে হাবিব মাতব্বরের এক লোক আকর্ষিক ভাবে কালাই এর উপর আক্রমণ করে বসে। এতে কালাই মারাত্মক ভাবে জখম হলে তারা চিকিৎসাসহ মোটা অংকের বিনিময়ে সেটা মীমাংসা করা হয়।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)অসিত কুমার রায় বলেন, রবিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ বিষয়ে এখনো কেউ মামলা বা অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।