
ফেনী সংবাদদাতা:
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তার দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিএনপির নেতারা জানান, তিন মাস আগে দক্ষিণ মন্দিয়ার যুবলীগের কুখ্যাত সন্ত্রাসী আমের মাক্কী তার বাহিনী নিয়ে পূর্ব গোপাল একতা সংসদের অফিস ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা ক্লাবের সভাপতি মোশাররফ হোসেন পাটোয়ারীর বাড়িতে হামলার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে গণধোলাই দেয়। পরে আমের মাক্কী রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে আলমগীর সিদ্দিকীর সম্পৃক্ততা না থাকা সত্ত্বেও তাকে ১ নম্বর আসামি করে মামলা দায়ের করে।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। ঘোপাল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, আরও একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘোপাল ইউনিয়ন যুবলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী জোবায়ের পারভেজের মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য আলাউদ্দিনকে প্রতিপক্ষের লোকজন ধরে নিয়ে যায়। এক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও ওই রাতেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। পরে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে আলাউদ্দিনকে ব্যবহার করে আলমগীর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আরেকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
ঘোপাল ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির বলেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও ফেনী-১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক মুন্সী রফিকুল আলম মজনুর বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত নেতা আলমগীর সিদ্দিকীকে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে একটি অদৃশ্য চক্র এসব ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেছে।
ছাগলনাইয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল হক টিপু বলেন, আলমগীর সিদ্দিকী দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির স্বচ্ছ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এসব মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে মামলার বাদীদের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।