
রিয়াদুল হাসান:
মব জাস্টিস বর্তমানে একটি বহুল উচ্চারিত শব্দ। এর অর্থ হিংস্র জনতার করা বিচার। জাস্টিস কথাটার অর্থ ন্যায়বিচার, আর ক্রুদ্ধ ক্ষুব্ধ জনতার হিংস্রতা দ্বারা কখনও ন্যায়বিচার করা সম্ভব নয়, তাই মব জাস্টিস কথাটাকে এখন অনেকেই মব ট্রায়াল বলছেন। শাব্দিক অর্থ যেটাই হোক, বিষয়টি তাতে বদলায় না। মানুষের মধ্যে বিরাজিত হিংস্র পশুত্বের নগ্ন প্রকাশ এই মব, মানবাধিকারের সর্বোচ্চ লংঘন ও বর্বরতার চূড়ান্ত প্রকাশ এই মব। চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারীকে পিটিয়ে মারার মত মব, সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী বা ভিন্ন ধর্মমতের মানুষকে হামলা করে তাদের বাড়িঘর গুড়িয়ে, পুড়িয়ে, গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করার মত ঘটনা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নাম নিশানা মুছে ফেলার গণহিংস্রতা আমাদের দেশে বহুদিন থেকেই চলে আসছে। আর বর্তমানে এটা আমাদের দেশের রোজকার ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
জাতিসংঘের অনুসন্ধানী দলের প্রতিবেদনে (প্রথম আলো, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিগত সরকারের সময় বিশেষ করে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বিচার বহির্ভূত হত্যা, নির্বিচার গ্রেপ্তার, অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের কথা যেমন এসেছে তেমনি অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও নানা মানবাধিকার লংঘনের ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতিশোধমূলক সহিংসতা, নির্দিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উপর নির্যাতন নিপীড়ন, বাড়িঘরে হামলা, মাজারসহ বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনায় হামলার কথাও বলা হয়েছে। এই হামলাগুলো প্রায় সবই মব সৃষ্টি করে ঘটানো হয়েছে। বাঙালি সম্পর্কে একটি বহুল প্রচলিত মূল্যায়ন হচ্ছে- ঞযবু ধৎব রহফরারফঁধষষু পড়ধিৎফ ধহফ পড়ষষবপঃরাবষু পৎঁবষ. শত শত বছরের দাসত্বের প্রভাবে উন্নত সভ্য জাতির চারিত্রিক ঋজুতা এই জনগোষ্ঠী থেকে তিরোহিত হয়েছে আর সেখানে জায়গা করে নিয়েছে ভীরুতা, হিংস্রতা, আত্মপ্রবঞ্চনা। যুগ যুগান্তরের অপমান, লাঞ্ছনা ও বিদেশি প্রভুদের জুতো বহনের অসম্মান তাদের ভিতরে ফেনিয়ে তুলেছে হতাশা, ঋৎঁংঃৎধঃরড়হ। সেই হতাশা ও মনের ঝাল মেটানোর সুযোগ এনে দেয় এই মব জাস্টিস। বাবুরাম সাপুড়ের সেই দুধভাত খাওয়া সাপের মত দুর্বল প্রতিপক্ষকে ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করে বিকৃত হিরোয়িজম প্রকাশের সুযোগ এনে দেয় মব জাস্টিস। কিন্তু কোনো সভ্য সমাজে এই মব জাস্টিস চলতে পারে না, ইসলামের সমাজব্যবস্থায় তো নয়ই। কারণ ইসলাম মানব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম সভ্যতা নির্মাণের জন্য আল্লাহপ্রদত্ত আদর্শ।
সুস্পষ্ট ঐতিহাসিক কারণে আমাদের দেশের জনগণের কাছে ইসলামের প্রকৃত আদর্শ নেই, প্রকৃত শিক্ষা নেই। সুলতানি যুগে প্রায় সাতশত বছর মুসলিম বংশোদ্ভূত সুলতান, নবাবরা এদেশ শাসন করেছেন, তখন রাষ্ট্রীয় জাতীয় জীবনে ইসলামের কিছু আইন-কানুন ও ব্যবস্থার চর্চা হয়েছে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গভাবে কখনওই হয়নি। তারপর যখন ব্রিটিশরা এলো, তারা আমাদেরকে পরাজিত করে দাসে পরিণত করল আর সেই দাসত্বকে চিরস্থায়ী করার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে মুসলমানদের মধ্যে খ্রিষ্টান প্রাচ্যবিদ ও পাদ্রীদের তৈরি করা একটি বিকৃত বিপরীতমুখী ইসলাম শিক্ষা দিল। সেখানে জাতীয় রাষ্ট্রীয় জীবনের ইসলামকে অস্বীকার করে কেবল ব্যক্তিগত জীবনের আমল যেমন নামাজ, রোজা, দাড়ি, টুপি, নারীদের পর্দা-পুশিদা, হায়েজ নেফাস ইত্যাদি সংক্রান্ত মাসলা-মাসায়েলকে মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে দাঁড় করানো হল। ১৪৬ বছর ধরে আলিয়া মাদ্রাসায় ২৭ জন খ্রিষ্টান প্রিন্সিপাল পদে থেকে এই জাতিকে ইসলাম শিখিয়েছে। সেই ইসলামটাই ভারতবর্ষের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মনে মগজে জায়গা করে নিয়েছে। এই মাদ্রাসাসহ আরো বিভিন্ন ঘরানার মাদ্রাসা থেকে ঐ ব্যক্তিগত ইসলামের পণ্ডিত শ্রেণি বের হয়ে সমাজে ধর্মনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। কিছু সুরা কালাম, ওয়াজ নসিহত, মাসলা মাসায়েলের জ্ঞান ছাড়া তাদের আর কোনো জ্ঞান না থাকায় সেই জ্ঞানকে পুঁজি করে তারা পৌরোহিত্য করে, নামাজ পড়িয়ে, মুর্দা দাফন করে, মিলাদ পড়িয়ে, ওয়াজ নসিহত, দোয়া মোনাজাত করে জীবিকা নির্বাহ করে আর নিজেদের দাপট, ক্ষমতা ও গুরুত্ব জাহির করার জন্য বিভিন্ন ফেরকার বিরুদ্ধে ফতোয়াবাজি, হুমকি-ধামকি, উত্তেজনা সৃষ্টি, দাঙ্গা ইত্যাদি ঘটিয়ে থাকে। জনগণ তাদেরকেই ধর্মের ধ্বজাধারী ও মুখপাত্র বলে মনে করে। তারা যা বলে সেটাকেই ইসলাম বলে অন্ধভাবে মেনে নেয়। জুমার দিনে এই ধর্মনেতারা যখন কোনো একটি ফেরকার মুসলমানকে কাফের, বাতিল, ইসলামের শত্রু ইত্যাদি বলে বা সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে বের হওয়ার জন্য ডাক দেয়, তখন ধর্মপ্রাণ ও ধমান্ধ জনতা উগ্রবাদী সন্ত্রাসী জনতায় পরিণত হয়। তারা সেই কথিত ‘ইসলামের শত্রু’-কে নির্মূল করার জন্য মব জাস্টিস আরম্ভ করে। ‘নারায়ে তাকবির - আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিয়ে লাঠি সোটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়, তাদের বাড়িঘর ধ্বংস করে দেয়, লোকজনকে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এই ধর্মীয় উন্মাদনায় যারা যারা অংশ নেয় তাদেরকে বলা হয়ে থাকে ‘তওহীদী জনতা’। যদিও তাদেরকে ‘তওহীদী জনতা’ বলা হলে ‘তওহীদ শব্দের অপমান করা হয়। কেননা তওহীদ হচ্ছে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ঘোষণা, যা ইসলামের ভিত্তি, কলেমার মর্মবাণী অর্থাৎ জীবনের সর্ব অঙ্গনে আল্লাহকে একমাত্র হুকুমদাতা, বিধানদাতা হিসাবে মেনে নেওয়ার ঘোষণাই হচ্ছে তওহীদ। জাতীয় জীবনে মানুষের তৈরি আইন মেনে, আল্লাহর হারাম করা সুদের অর্থনীতি মেনে, ব্রিটিশের তৈরি করা বিচারব্যবস্থা, রাজনৈতিক ব্যবস্থা মেনে নিয়ে কোনো জনগোষ্ঠী কোনোদিন ‘তওহীদী জনতা’ হতে পারে না। তারা হতে পারে ‘ধর্মান্ধ জনতা’।
ধর্মবিদ্বেষী ঐতিহাসিকরা বলেন, মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি নৃশংসতা করা হয়েছে ধর্মের নামে। তাদের এ মতের পাল্টা মত রয়েছে, তবু তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নেই তবু বলতে হবে, সেটা আল্লাহর দেওয়া ধর্ম ছিল না, সেটা ছিল যাজকতন্ত্র ও উগ্রবাদ। বিভিন্ন ধর্মে এটা হয়েছে। মধ্যযুগে খ্রিষ্টান যাজকরা উইচ হান্ট করে ডাইনী নিধনের নামে, ইনকুইজিশনের নামে যে অত্যাচারের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে সেটা আদৌ কি শান্তির রাজকুমার আখ্যাত যিশুর (ঈসা আ.) শিক্ষা ছিল? মোটেই নয়। তেমনি বর্তমানে মুসলিম বিশ্বজুড়ে যে উগ্রবাদের উত্থান হয়েছে, যারা এখানে ওখানে বিশৃঙ্খলভাবে লাঠিসোটা নিয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, সেটাও আল্লাহর দেওয়া ইসলামের শিক্ষা নয়, মহানবীর (সা.) সুন্নাহ নয়, ইসলামের জেহাদ ও কেতাল তথা সংগ্রাম ও সশস্ত্র সংগ্রামের নমুনা নয়, যদিও মব সৃষ্টির সময় উগ্রবাদীরা একে জেহাদ বলেই ধর্মপ্রাণ জনতাকে হামলার প্ররোচনা দিয়ে থাকে।
ইসলামের পরিভাষায় জেহাদ মানে হচ্ছে সংগ্রাম আর কেতাল মানে সশস্ত্র সংগ্রাম বা যুদ্ধ যা জেহাদেরই একটা স্তর। তবে সাধারণভাবে জেহাদ বলতে আমরা দীন প্রতিষ্ঠার যুদ্ধকেই বুঝে থাকি। আল্লাহর রসুল কখন কাফেরদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন তার একটা নীতি আছে। সেই নীতি লংঘন করলে সেটা আর যুদ্ধ থাকবে না, সেটা হয়ে যাবে ফেতনা, দাঙ্গা, ফাসাদ। মুখে বলে, যুক্তি তর্ক দিয়ে, লিখে নিজের বক্তব্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা করাও জেহাদ। রসুলাল্লাহর নব্যুয়তি জীবনের প্রথম তেরো বছর তিনি ও তাঁর সাহাবিরা মানুষকে মৌখিকভাবে প্রচারের মাধ্যমে, যুক্তিতর্ক দিয়ে বুঝিয়ে ইসলামে দাখিল করার জন্য আহ্বান করে গেছেন। তারা এ সময় একটিবারের জন্যও অস্ত্র হাতে নেননি, যুদ্ধ করেননি। কারণ যুদ্ধ বা কেতাল ব্যক্তিগত বা দলগত পর্যায়ে করার অনুমতি আল্লাহ দেননি। কিন্তু তাঁরা যখন মদিনায় হিজরত করলেন, আল্লাহ সেখানে একটি ক্ষুদ্র এলাকার উপর সার্বিক কর্তৃত্ব তথা রাষ্ট্রক্ষমতা রসুলকে দান করলেন। তিনি তখন তাঁর শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অনুমতি পেলেন। আল্লাহ জানালেন, যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যারা আক্রান্ত হয়েছে। কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম। যাদেরকে তাদের নিজ বাড়ী-ঘর থেকে অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে বের করে দেয়া হয়েছে যে, তারা বলে, ‘আমাদের রব আল্লাহ’। (সুরা হজ ৩৯-৪০)। এই আয়াত মক্কায় থাকতে নাজিল না করে মদিনায় আসার পর নাজিল করলেন। কারণ সামরিক কর্মকাণ্ড করা রাষ্ট্রের কাজ আর মদিনা ক্ষুদ্র হলেও একটি রাষ্ট্র। আজকে যারা বিভিন্ন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দিচ্ছেন, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও বলে, আল্লাহু আকবার শ্লোগান দিয়ে তওহীদী জনতা সেজে আক্রমণ চালাচ্ছেন, তারা কি কোনো রাষ্ট্রশক্তির মালিক? যদি না হয়, তাহলে তাদের এই কর্মকাণ্ড ইসলামের যুদ্ধনীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। দলীয় পর্যায়ে থেকে তারা আরেকটি দলের উপর হামলা করার অধিকার ইসলাম মোতাবেক রাখেন না। তারা জঙ্গলের আইনকে ইসলাম বলে চালিয়ে দিচ্ছেন আর ইসলামের সঠিক জ্ঞান না থাকায় ধর্মান্ধ মানুষেরা তাদের অনুসরণ করে যাচ্ছে।
জেহাদ হচ্ছে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার বন্ধের প্রক্রিয়া। আল্লাহর রসুল সামান্য সংখ্যক মুজাহিদ নিয়ে কয়েকগুণ শক্তিশালী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু মবের বিষয়টি সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে হাজার হাজার উন্মত্ত জনতা গিয়ে দুর্বল, গুটিকয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়। সম্প্রতি (৩০ জানুয়ারি ২০২৫) বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অন্তত ১০টি স্থানে ‘বিক্ষুব্ধ জনতার’ হামলার ঘটনা ঘটেছে। তার মাঝে বিবিসি বাংলা চারটি ঘটনা যাচাই করে দেখেছে, এসব ঘটনার সাথে জড়িত অনেকের একটি সাধারণ পরিচয় হলো- হয় তারা ইসলামিক রাজনীতির সাথে জড়িত, অথবা ইসলামি রাজনীতির সমর্থক।”
এই ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকরা তাদের কর্ম ও অপকর্ম সম্পর্কে সম্পূর্ণ সজাগ ও সচেতন। তাই যখন তারা বে-আইনীভাবে কোনো মবের নেতৃত্ব দেয়, তখন তারা নিজেদের দলীয় পরিচয় গোপন করে তওহীদী জনতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে, নিজেদেরকে মুসল্লি, সচেতন মুসলিম জনতা, আকিদা সংরক্ষণ কমিটি ইত্যাদি নাম নিয়ে আবির্ভূত হয় যেন কোনো নাশকতা বা হত্যাকাণ্ডের দায় দলের কাঁধে না বর্তায়। কিন্তু তারাই যখন লোক দেখানো ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি পালন করে তখন বড় করে দলীয় ব্যানার টাঙায়। যুদ্ধের চিরন্তন নীতি হলো, দুই পক্ষের পরিচয় হবে স্পষ্ট যেমন বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, ইউক্রেন বনাম রাশিয়া, উম্মতে মোহাম্মদী বনাম কোরায়েশ। দুই দলের নেতৃত্বদানকারীদের পরিচয়ও থাকবে সুস্পষ্ট। কিন্তু মবে, দাঙ্গায় কোনো নেতৃত্ব খুঁজে পাবেন না। সুতরাং এটা কোনোভাবেই ইসলামের জেহাদ হতে পারে না। জেহাদে উভয়পক্ষের লোকক্ষয় হয় এবং উভয়পক্ষকে সেটার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়। বদরের যুদ্ধে কাফেরদের পক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছিল। মুসলিমরা সেটার দায়িত্ব নিয়েছে। কাফেররাও ১৪ জন মুসলিমকে শহীদ করেছিল, তারাও সেটার দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু মবের সহিংসতা ঘটানোর পর কেউ কোনো দায়িত্ব নিতে রাজি হয় না। সব দায় উত্তেজিত জনতার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়।
যারা এই মবের উস্কানিদাতা তারা প্রচার করে থাকে যে, তারা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এই কাজগুলো করছে। কিন্তু সত্য হচ্ছে এটাই যে, তারাই ফেতনাবাজ, তারাই সমাজে হিংস্রতা, হানাহানি, ধর্মের নামে উগ্রতার প্রসার ঘটাচ্ছে। আল্লাহ বলেন, ‘যখন তাদেরকে বলা হয়, পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করো না, তারা বলে আমরাই তো শান্তি স্থাপনকারী। সাবধান! তারাই অশান্তি সৃষ্টিকারী। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না (সুরা বাকারাহ ১১-১২)।’