
মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিষিদ্ধ এমআরপি ছাড়া পণ্য রাখা ও বিক্রির অপরাধে ভৌমিক ষ্টোর সহ তিন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে মাগুরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রির মাধ্যমে ভোক্তাদের প্রতারিত করা এবং মোড়কজাতকরণ বিধিমালা অনুসরণ না করে পণ্য বিক্রি করার ব্যাপারে কসমেটিকস তথা প্রসাধনী ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে এ জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাগুরা।
মাগুরা ভোক্তা অধিকার সংস্থাটি বলেছে, ব্যবসায়ীরা নিয়ম না মানলে কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে। আর অভিযানে কোনো ব্যবসায়ী বা বাজার কমিটি বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাগুরা ভোক্তা অধিদপ্তরে শনিবার প্রসাধনী আমদানি ও বাজারজাতকারীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রসাধনী ব্যবসায়ীদের নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রি ও নিয়ম মেনে না চলার বিষয়ে সতর্ক করেন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান সহকারী পরিচালক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় মাগুরা। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিদেশি প্রসাধনীতে আমদানিকারকের তথ্য থাকে না। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিকযুক্ত প্রসাধনী বিক্রি করা হয়। এ ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ভোক্তা অধিদপ্তর। তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রি এবং ভোক্তাদের প্রতারিত করার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে আমরা কঠোর অভিযান পরিচালনা করব।’
শনিবার দুপুরে মাগুরা জেলা শহরের জামে মসজিদ রোড জুতা পট্টিতে অবস্থিত রমেশ ভৌমিকের ভৌমিক ষ্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও শহরের জমজম মার্কেটের সামনে অবস্থিত খোকন খানের দোকান নিউ বরকত ষ্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং শত্রুজিৎপুর বাজারের শেখ ফার্মেসীকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট দপ্তর তথ্যসূত্রে জানা গেছে, আগামী রবিবার (৯ এপ্রিল) পর্যন্ত সারা দেশের দোকান গুলোকে নিষিদ্ধ ও নকল পণ্য দোকান থেকে সরিয়ে ফেলতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে নকল প্রসাধনীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযান চালানো হবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। কোনও মার্কেটে নকল প্রসাধনী বিক্রি হলে তাৎক্ষণিক সেটি বন্ধ করে দেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। প্রয়োজনে অধিদফতর এক্ষেত্রে সহায়তা করবে বলেও তিনি জানান। বুধবার (৫ এপ্রিল) ভোক্তা অধিদফতরের কার্যালয়ে কসমেটিকস পণ্য আমদানিকারক এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন এএইচএম সফিকুজ্জামান।