
নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে সাম্প্রতিক কয়েকটি বাধার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।বিশেষ করে, সম্প্রতি মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, “নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে আসছেন। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “কেউ নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে বা এ ধরনের বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে যুক্ত হলে তিনি বা তারা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থার মধ্যে পড়বেন।”
অন্তর্বর্তী সরকার যেকোনো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্য বা নিপীড়নের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এরই মধ্যে দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত হওয়া ফুটবল ম্যাচ পুনরায় আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন, যা শত শত মানুষ উপভোগ করেছেন। স্থানীয় জনগণ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন বলে জানান তারা।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত এক মাসে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দেশের অন্যতম বৃহত্তম যুব উৎসব আয়োজন করেছে।
এ উৎসবে শত শত উপজেলা ও জেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নারী খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাগুলোর হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট ও কাবাডি ম্যাচে অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষে কাজ করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের।
গত সপ্তাহে অধ্যাপক ইউনূস ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য উন্নত অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে সহায়তা চান। সূত্র: বাসস