
রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুর-২ আসনে (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বরাদ্দের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না অভিযোগ করেছেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা সুমনা আক্তার লিলি।
যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে টিআর-কাবিখা প্রকল্প ছাড়া এ আসনে কোন উন্নয়ন হয়নি। অপরদিকে স্কুল-কলেজের এমপি ও নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে উঠেছে স্থানীয় সাংসদ ও তার সিন্ডিকেট। দুই উপজেলায় কৃষিভিত্তিক, গার্মেন্টস, কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানীর সম্ভাবনা থাকলেও উদ্যোগের অভাবে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে গতি পাচ্ছে না। এতে করে বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ উপজেলার বেকারত্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে।
বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে নগরীর একটি হোটেল মিলনায়তনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
লিলি বলেন, আমি তরুণসহ সব বয়সী মানুষের সমর্থনে এগিয়ে যেতে চাই। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে রংপুর-২ আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন চাইবো। জনগণের আকুন্ঠ সমর্থনে নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের দিন বদলে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাব। এতে যত বড় বাঁধাই আসুক না কেন, এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আমি পিছুপা হব না।
তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচন করবো বুঝতে পেরে স্থানীয় সংসদ সদস্য নানাভাবে অপকৌশল ও ষড়যন্ত্র করছে।গত এক মাস পূর্বেও তারাগঞ্জ উপজেলা আ'লীগের সাধারন সম্পাদক হারুনর রশীদ বাবুল আমাকে এই ষড়যন্ত্রের আভাস দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় তারা কিছু গণমাধ্যম কর্মীদের ভাই বোনদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার নামে দূর্নাম ছড়ানোর চেষ্টা করর।
এছাড়া গত সোমবার প্রচার-প্রচারণার সময় তারাগঞ্জের ইকরচালীতে এমপি লোকজন আমার উপর হামলা করেছে। এরপরেও আমি থেমে থাকিনি। আমি প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করাসহ বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে চাই এবং প্রধানমন্ত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে কাজ করে যাবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তারাগঞ্জ ইকরচালীর মাহবুব হাসান মজনু, আল আমিন হোসেন, অশোক রায়, দীপক রায়সহ অন্যরা।