
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাইয়ে সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের একাধিক খুঁটি রেখেই শেষ করা হয়েছে পাকা করণের কাজ। ফলে একদিকে যেমন রাস্তা দিয়ে যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। অন্যদিকে দুর্ঘটনার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আত্রাই উপজেলার অধীনে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয় প্রকল্প-৩এর আওতায় উপজেলার আহসানগঞ্জ-নলডাঙ্গা সড়কের দাড়িয়াগাথী আব্দুলের মোড় থেকে আশরাফ আলী চৌধুরী সেতু পর্যন্ত ৮১২ মিটার সড়ক পাকাকরনে গত বছরের শুরুতে টেন্ডার দেয়া হয়। কিন্তু রাস্তার মাঝে বিদ্যুতের একাধীক খুঁটি থাকলেও এস্টিমেট করার সময় খুঁটিঅপসারনের কোন নির্দেশনা বা ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়নি। তাই খুঁটিও অপসারন করা হয়নি। ফলে খুঁটি রেখেই গত সপ্তাহে সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার পাকাকরন কাজ শেষ করে চলে যান। এতে চলাচলে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
দাড়িয়াগাথী গ্রামের সমশের আলী বলেন, সারাদেশে রাস্তার মাঝখান থেকে বিদ্যুতের সবগুলো খুঁটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অথচ আমাদের এখানে উদ্যোক্তার অভাবে একাধিক খুঁটি রেখেই সড়ক পাকা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এমনিতেই সড়ক অনেক সরু, তারমধ্যে রাস্তায় খুটি থাকায় আরো সরু হয়ে পরেছে। ফলে যান চলা চলে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ভ্যান চালক আব্দুর রহিম বলেন, আগে ছিল মাটির রাস্তা। এর পর ইটের হিয়ারিং ছিল এই রাস্তা। ফলে সবগুলো গাড়ী চলাচলে গতিও কম ছিল। এছাড়া খুঁটি বরাবর যেকোন গাড়ী পৌছলে সর্তক হয়েই চলাচল করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তা পাকা হবার পর সবগুলো গাড়ীর গতি বেড়ে গেছে। ফলে যে কোন মুহুর্তে এক গাড়ী আরেক গাড়ীবে সাইড দিতে গিয়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দূর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত খঁটি অপসারনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
রাস্তা পাকাকরণ কাজের সংশ্লিষ্ঠ ঠিকাদার রেন্টু বলেন, খুঁটি উত্তোলনের জন্য কোন ব্যয় বরাদ্দ বা নির্দেশনা দেয়া হয়নি। ফলে খুঁটি রেখেই কাজ শেষ করতে হয়েছে।
নওগাঁ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-আত্রাই যোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল আলিম বলেন, রাস্তা থেকে খুঁটি অপসারণে এপর্যন্ত সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর থেকে কোন আবেদন করেনি। আবেদন করলে নিয়ন অনুযায়ী খুঁটি অপসারণ করা হবে।
এলজিইডি নওগাঁ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাস্তা পাকাকরণে টেন্ডারের সময় এস্টিমেটে ধরা ছিলনা। যে কারণে খুঁটি অপসারণ হয়নি। তবে ইতোমধ্যেই খুঁটি অপসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।