Date: May 18, 2024

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / চট্টগ্রাম / রায়পুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে বৃদ্ধকে কুপিয়ে মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

রায়পুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে বৃদ্ধকে কুপিয়ে মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

February 29, 2024 07:02:18 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
রায়পুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে বৃদ্ধকে কুপিয়ে মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

রায়পুর, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে সত্তোরোদ্ধ এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা ও তার মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। বৃদ্ধের নাম লুৎফুর রহমান প্রকাশ লুতা মিয়াজি (৭০)। তিনি দেনায়েতপুর গ্রকমের মিয়াজী বাড়ির মৃত খোরশেদ আহম্মেদ মিয়াজি ছেলে।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, একই বাড়ির  ফিরোজ মিয়াজী ও ইসমাঈল মিয়াজির পরিবারের সাথে লুতা মিয়াজির পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন যাবত শত্রুতা চলে আসছে।  লুৎফুর রহমান মিয়াজী ফিরোজ মিয়াজির বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় ফিরোজ মিয়াজির দুই ছেলে রায়হান ও রিমন এর সাজা হয়। সেই সূত্রে তাদের শত্রুতা চরম পর্যায়ে রয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার সন্ধা ৬ টায় একটি বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধ লুৎফুর রহমান এর মাথা ফেটে যায় এবং শরিরের বিভিন্ন অঙ্গ থেৎলে যায়। এ গঠনায় লুৎফুর রহমান ও তার মেয়ে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। লুৎফুর রহমানের মাথায় ৩টি সেলাই দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে লুৎফুর রহমান বলেন, আমার জায়গায় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনে বিদ্যূৎকর্মীদের আমি বাধা দেই। এতে বিনা উস্কানিতে হান্নান (৫০), ফিরোজ (৫৫), ইসমাইল (৪৫), রায়হান, খুকি, রুপা, কাজল, লিমন গং আমার উপর দা-চেনি, লোহার রড নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়, তাদের দায়ের কোপে আমার মাথা কেটে যায়, তারা আমার পুরো শরীরে রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। আমার শোর চিৎকারে আমার মেয়ে নিশু আমাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে তারা আমার মেয়ের শ্লীলতাহানি করে। এক পর্যায়ে আমার মাথার রক্তক্ষরনে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আশপাশের লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করায়। আমি আইনের আশ্রয় নিবো।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রায়হান, ফিরোজ, খুকি ও রুপা বলেন, আমাদের জায়গায় আমরা বৈদ্যূতিক পিলার স্থাপন করতে গেলে, লুৎফুর রহমান আমাদেরকে বাধা দেয়। এতে আমরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ি। আমাদেরও চারজন আহত হয়, তাদেরকে আমরা সরকারী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করে বাড়িতে আসি। লুৎফুর রহমান এর মাথা ফাটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, অন্ধকারে কে বা কারা ফাটিয়েছে, সেটি আমরা খেয়াল করিনি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান রিজভী বলেন, ঘঠনাটি জেনেছি। আহতদেরকে হাসপাতালে দেখে এসেছি।

এ ব্যাপারে রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিন ফারুক মজুমদারকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি, করলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।