Date: April 30, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / বিশেষ নিবন্ধ / শিক্ষিতদের দুর্নীতিতে ধর্মহীন শিক্ষাব্যবস্থার দায় - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

শিক্ষিতদের দুর্নীতিতে ধর্মহীন শিক্ষাব্যবস্থার দায়

July 01, 2024 02:52:59 PM   অনলাইন ডেস্ক
শিক্ষিতদের দুর্নীতিতে ধর্মহীন শিক্ষাব্যবস্থার দায়

ইলিয়াস আহমেদ:
আমাদের দেশে সাধারণ মানুষকে দুর্নীতির ব্যাপারে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন নেই। সরকারি এমন কোনো সেবাখাত নেই যেখানে অনিয়ম-ঘুষ ছাড়াই নির্বিঘ্নে সেবা নিতে পারছে সাধারণ মানুষ। ইউনিয়নের ভূমি অফিস থেকে শুরু করে, পাসপোর্ট অধিদপ্তর, সরকারি হাসপাতালসহ প্রত্যেক সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতির ছড়াছড়ি। জনগণের ভ্যাট-ট্যাক্সের অর্থায়নে এই প্রতিষ্ঠানগুলো যেখানে বিনামূল্যে পরিষেবা দিতে বাধ্য, সেখানে অতিরিক্ত অর্থ ছাড়া সেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই অতিরিক্ত টাকা না দেয়ার কারণে উল্টো সেবাগ্রহীতারা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। দুর্নীতির কালো টাকায় ফুলে-ফেঁপে উঠেছে দুর্নীতিবাজরা।

আর পরিতাপের বিষয় হলো: এই দুর্নীতির সাথে জড়িত যারা, তারা আর কেউ নয়, প্রচলিত শিক্ষায় শিক্ষিত শ্রেণিটি। দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বসে কলমের খোঁচায় অনিয়ম আর অন্যায়ভাবে সাধারণ মানুষের সেবা পাওয়ার অধিকার ক্ষুণ্ন করছে, অনেক ক্ষেত্রে জালিয়াতির মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে অর্থ-সম্পদও হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রায়শ পত্রিকার খবরে দেখা যায়, এসব দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তার মাসিক বেতনের চাইতেও কয়েকগুণ বেশি তাদের জীবনযাত্রার ব্যয়। দশ-বিশ হাজার টাকার বেতনের কর্মচারী এরই মধ্যে গড়ে তুলেছে আলিশান বহুতল ভবন। ঘুষ-অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ টাকা উপার্জনে এখন আর রাখঢাক নেই। ‘বাড়তি উপার্জন কিংবা ‘স্পিডমানি’-র নামে একরকম বৈধতার স্বীকৃতিও দিয়েছে এই দুর্নীতিবাজ শ্রেণিটি।

জার্মানির বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-এর ২০২৩ সালের জন্য দুর্নীতির ধারণাসূচক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, দুর্নীতির মাত্রা বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। আর দুর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইবি-এর ২০২২ সালের রিপোর্ট অনুসারে দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত
শীর্ষ তিন খাতে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর তথ্যানুসারে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় ৭৪ শতাংশের বেশি সংখ্যক পরিবার দুর্নীতির শিকার হয়েছে। অনুরূপভাবে, পাসপোর্ট অধিদপ্তরে ৭০.৫ শতাংশ, বিআরটিএ কার্যালয়ে ৬৮.৩ শতাংশ, বিচারিক সেবাখাতে ৫৬.৮ শতাংশ, সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় ৪৮.৭ শতাংশ, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে ৪৬.৬ শতাংশ এবং ভূমি সেবায় ৪৬.৩ শতাংশ পরিবার দুর্নীতির শিকার হয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

সরকারি কার্যালয়গুলোতে যে দুর্নীতি হচ্ছে, দুদক সেটি স্বীকার করে গবেষণার রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত শতাধিক দুর্নীতির মামলায় প্রায় ৩৭৪ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের অর্ধেকই সরকারি চাকরিজীবী। দুদকের কমিশনার মো. জহুরুল হক বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সরকারি সেবাখাতে যে দুর্নীতি হচ্ছে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই যে অবৈধ সম্পদের মালিক হচ্ছেন, সেটাই বাস্তবতা’। এসব দুর্নীতিবাজ সরকারি চাকরিজীবীরা শুধু দুর্নীতি করেই ক্ষান্ত নয়, তাদের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ অনেক আগে থেকেই । কানাডায় অর্থপাচার করে বাংলাদেশি নাগরিকদের বাড়ি-গাড়ি কেনার বিষয়ে ২০২০ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল কালাম আব্দুল মো’মেন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমাদের সচরাচর ধারণা যে, এগুলো হয়তো রাজনীতিবিদরা করেন। কিন্তু, সেখানে দেখা গেল এদের অধিক সংখ্যক সরকারি চাকরি করেন।’ ২০২১ সালে নন-ব্যাংকিং একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মামলার শুনানিকালে হাইকোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘সেখানে কয়েক বছর অনেক চোর-ডাকাত বসে ছিল। ২০০২ সাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের যত জিএম (জেনারেল ম্যানেজার), ডিজিএম (ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার), এজিএম (অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার) ছিল, তারা ওখানে বসে বসে মধু পেত। বসে বসে মধু খেয়েছে তারা।’ এই যে চোর-ডাকাত, দুর্নীতিবাজদের কথা বলা হলো, যারা দেশের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে অর্থ-পাচার করেছে, তারা কিন্তু আমাদের শিক্ষিত শ্রেণিরই একটা অংশ এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা। তারা সকলেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় উচ্চশিক্ষিত। এখন প্রশ্ন হলো, যে শিক্ষিত শ্রেণিটি মননে-মেধায় দেশের সেবার লক্ষ্যে সৎভাবে দায়িত্ব পালন করার কথা, তারা কেনো দুর্নীতিতে জড়িত, তাদেরকে কেনো চোর-ডাকাত বলে সম্বোধন করা হচ্ছে?

শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য কেবল পড়তে পারা বা লিখতে পারার মধ্যে সীমিত নয়। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য একজন মানুষকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি তার মধ্যে মূল্যবোধ, নৈতিকতা, আদর্শ ও মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করা; এগুলোর সুষ্ঠু বিকাশ করা। আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত ঠিকই করতে পারছে এবং প্রতিবছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে হাজার হাজার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী শিক্ষার্থী বের হচ্ছে। কিন্তু মানুষ করে বের করতে পারছে কি? চাকরিপ্রার্থীদের পছন্দসই চাকরি নির্বাচনে লক্ষ্য করা যায়, যে সকল চাকরিতে ঘুষ-আর্থিক সুবিধা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ বেশি সে সব চাকরিকে প্রাধান্য দেয়ার প্রবণতা বেশি। এই চিত্র দিনকে দিন প্রবলতর হচ্ছে। অর্থাৎ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা নৈতিক ও আদর্শ মানুষ তৈরি করতে অনেকটাই ব্যর্থ এবং এর দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। যখন একটি ব্যবস্থায় শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকলেই অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে এবং সেই নীতিহীন ব্যবস্থা মেনে নেয়, তখন একমাত্র সুশিক্ষাই পারে সেই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে। কিন্তু সমস্তরকম পরিসংখ্যান বলছে, দেশে যে হারে শিক্ষার হার বাড়ছে, শিক্ষিতের সংখ্যা বাড়ছে, সে হারে দুর্নীতি কমছেই না বরং উল্টো বাড়ছে। তাই আমাদের দৃষ্টিপাত করতে হবে এই শিক্ষাব্যবস্থার গলদ কোথায়?

এই গলদটি কোথায় তা চিহ্নিত করতে হলে আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা কী লক্ষ্য নিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছিল সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। ভারতবর্ষের ইতিহাসে আমরা দেখি, ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদীরা বণিকের বেশে ভারতে প্রবেশ করে এবং ক্রমে তারা ছলে বলে কৌশলে এদেশের শাসন ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়। আমাদেরকে পদানত করার পর চিরকালের জন্য গোলাম বানিয়ে রাখতে ব্রিটিশরা একটি চক্রান্ত করল। তারা দুই ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা চালু করল- একটি সাধারণ ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা, আরেকটি মাদ্রাসা শিক্ষা। এই দুটো শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে চিন্তা-চেতনায় মৌলিক ব্যবধান ও বৈপরীত্য রয়েছে। এখানেই তারা আমাদের জাতিটিকে মানসিকভাবে ও বাস্তবে বিভক্ত করে দিয়েছে। ব্রিটিশ পণ্ডিতরা অনেক গবেষণা করে ষড়যন্ত্রমূলক মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করলো যেখানে অংক, ভূগোল, বিজ্ঞান, অর্থনীতি, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা ইত্যাদির কোনো কিছুই রাখা হলো না। এগুলো বাদ দিয়ে  ব্যক্তিগত জীবনের মাসলা-মাসায়েল, ফতোয়া, দোয়া-কালাম, মিলাদের উর্দু-ফার্সি পদ্য, বিশেষ করে দীনের যে বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে থেকেই বিভিন্ন মাজহাবের ফকীহদের মধ্যে বহু মতবিরোধ সঞ্চিত ছিল সেগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করলো। সেই ইসলামটিকে জাতির মনে-মগজে গেড়ে দেওয়ার জন্য বড়লাট লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৮০ সনে ভারতের তদানীন্তন রাজধানী কোলকাতায় আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করল। সেখানে নিজেরা অধ্যক্ষ থেকে পর পর ২৬ জন খ্রিষ্টান (প্রথম খ্রিষ্টান অধ্যক্ষ এ.এইচ. স্প্রিঙ্গার এম.এ. এবং শেষ খ্রিষ্টান অধ্যক্ষ এ. এইচ. হার্টি এম.এ.)  ১৯২৭ সন পর্যন্ত ১৪৬ বছর ধরে মুসলিম জাতিকে সেই বিকৃত ইসলামটি শেখাল। [দেখুন- আলীয়া মাদ্রাসার ইতিহাস, মূল- আঃ সাত্তার, অনুবাদ- মোস্তফা হারুন, ইসলামী ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ এবং Reports on Islamic Education and Madrasah Education in Bengal by Dr. Sekander Ali Ibrahimy (Islami Foundation Bangladesh)]।

আর অন্যদিকে সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থায় (General Education System) দীন সম্পর্কে প্রায় কিছুই শিক্ষা দেওয়া হয়নি। বরং সুদভিত্তিক অংক, ব্রিটিশ রাজা- রাণীর ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান, গণিত, পাশ্চাত্যের ধর্মহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা, পাশ্চাত্য বস্তুবাদী দর্শন ইত্যাদি শিক্ষার পাশাপাশি ধর্ম সম্পর্কে, বিশেষ করে ইসলাম সম্পর্কে একটা বিদ্বেষভাব শিক্ষার্থীদের মনে প্রবেশ করানো হলো। এই শিক্ষাব্যবস্থা থেকে লক্ষ লক্ষ কথিত আধুনিক শিক্ষিত লোক বের হচ্ছেন যারা চরম আত্মকেন্দ্রিক ও স্বার্থপর। নিজেদের বৈষয়িক উন্নতি ছাড়া আর কিছুই তারা ভাবেন না। সময় ও শাসনের প্রেক্ষাপটে এই সাধারণ শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন-পরিমার্জন আসলেও উদ্দেশ্যগত ও আদর্শের দিক থেকে একই রয়ে গেছে, যার ফল আমাদের চোখের সামনে স্পষ্ট। নীতি-নৈতিকতাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে শিক্ষিত শ্রেণিটি।

তাই যদি আমরা দেশকে বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়নের লজ্জা থেকে রক্ষা করতে চাই, আমাদের শিক্ষিত শ্রেণিটিকে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে তৈরি করতে চাই, দেশ ও দেশের মানুষকে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের হাত থেকে রক্ষা করতে চাই, তবে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর বিকল্প নেই। ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তে দেশে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থার প্রস্তাব করা যেতে পারে, যেখানে আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষার ভারসাম্যপূর্ণ সমন্বয় থাকবে। শুধু ধর্মহীন সেক্যুলার শিক্ষা দিয়ে হবে না। মানুষের দেহ যেমন আছে তেমনি আত্মা তথা বিবেকও আছে। সে বিবেকের দাবি পূরণ করার জন্য বিভিন্নভাবে এদিক ওদিক যেতে চাইবে। আবার বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে কেবল মাসলা-মাসায়েল, দোয়া কালাম, ফতোয়াবাজির ইসলাম যা কেবল পরকালীন সওয়াবমুখী, সেটা দিয়েও হবে না। প্রস্তাবিত এই একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ছাত্ররা এমন মানুষ হয়ে বের হবে যারা ধর্মান্ধ নয়, ধর্মবিদ্বেষী নয়, যারা প্রগতিশীল, বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবোধসম্পন্ন, দেশপ্রেমিক, রুচিশীল, মার্জিত, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার, জাগ্রতবিবেক, স্রষ্টার আদেশ-নিষেধ, ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন। তারা স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক, দাম্ভিক, অহঙ্কারী না হয়ে বিনীত ও নম্র  হবে, মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হবে। প্রতিটি মানুষ হবে আলোকিত, সত্য ও ন্যায়ের ধারক। মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ তারা ঘুণাক্ষরেও চিন্তা করবে না। এমন মানুষ তৈরি করতে পারে একটি ভারসাম্যমূলক শিক্ষাব্যবস্থা। এ ছাড়া চলমান দুর্নীতি ও অবক্ষয়ের কোনো সমাধান নেই।

[লেখক: প্রকৌশলী; যোগাযোগ: ০১৬৭০১৭৪৬৪৩, ০১৭১১৫৭১৫৮১, ০১৭১১০০৫০২৫]