
শরীয়তপুর সদর জেলখানা রোডে অবস্থিত পৌরসভা যুবদলের অফিসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বিএনপি ও যুবদল সমর্থকদের মধ্যে। সোমবার রাতে অফিসে পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা যায়। এছাড়া সামনে চেয়ার টেবিলসহ একটি এলইডি টিভি, কিছু প্লাস্টিকের চেয়ার, টেবিলের গ্লাস ও এলইডি টিভি ভাঙচুর করা দেখা যায়। উভয়পক্ষই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী হলেও একে অপরকে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে অবহিত করে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিতে দেখা গেছে।
পুলিশ জানায়, শরীয়তপুর পৌরসভা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক টিটু চোকদারের সাথে যুবদল নেতা সুমন খানের মধ্যে অন্তঃকোন্দল চলছিল। রাতে কথাকাটাকাটির পর তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উভয় পক্ষের লোক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় সুমন খানের সমর্থকরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টিটু চোকদারের যুবদলের কার্যালয় ভাঙচুর করে। এতে আহত হন সহিদুল মোল্লা ও ফয়সাল সরদার। তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
টিটু চোকদার বলেন, “সন্ধ্যার পরে আমি আমার লোকজন নিয়ে ক্লাবে বসেছিলাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই আওয়ামী লীগের আতিক ঢালী, বিএনপির খোকন মোল্লা ও শাহ মোহাম্মদ আব্দুস সালাম শাহের লোকজন এসে আমার ক্লাব ভাঙচুর করে চলে যায়।” পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে মোতায়ন হয়। হামলার সময় প্রায় এক থেকে দেড়শো লোক বোমা, রামদা, ছেনদা, লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা করে ক্লাবের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সুমন খান বলেন, “টিটু চোকদার গত ১৫ বছর যাবৎ আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ইকবাল হোসেন অপুর দোসর। সে বিএনপির নেত্রীর ছবি দিয়ে চায়ের দোকান খুলেছে। সে সেটাকে ক্লাব বলে পরিচয় দেয়। সেখানে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি ও সভাপতির ছবি নেই। সে এটা কিসের পার্টি অফিস খুলেছে? এই টিটু চোকদারের ১৫ বছর আওয়ামী লীগে থাকা কর্মকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ আমরা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে জমা দিয়েছি এবং বিএনপির তৃণমূল নেতৃবৃন্দের কাছে জমা দিয়েছি।”
জেলা ছাত্রদলের প্রস্তাবিত সভাপতি আবুল মনসুর আবদুল্লাহ পান্থ তালুকদার বলেন, “গতকাল রাতে পাকার মাথায় যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আওয়ামী লীগের দোসররা বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের এভাবে নির্যাতন করবে, এটি আসলে দুঃখজনক। আমাদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে এখনো রাজনীতি করছে। আমি তাদেরকে বলতে চাই, আপনারা এই রাজনীতি বন্ধ করুন। তা না হলে আপনাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপি একটি শান্তিপূর্ণ ও সুসংগঠিত সংগঠন। এই দল কখনো সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকবাজকে প্রশ্রয় দেয় না।