
আশিকুর রহমান, গাজীপুর:
স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে দীর্ঘ ২ বছর শিখা ও আবুল হোসেন বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া করে বসবাস করে থাকছিলেন। একসাথে থাকার একপর্যায়ে আবুল হোসেনের হাতে বলি হয় শিখা। মঙ্গলবার গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন ইসলামপুর এলাকার একটি টিনসেড বাসা থেকে শিখার অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে বাসন থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, শিখার অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে বুধবার সকালে হত্যাকারী আবুল হোসেনকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর চন্দ্রা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। নিহত শিখা বাসনের ইসলামপুর এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। শিখা (৩২) ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকার সরোয়ার হোসেনর মেয়ে। তিনি পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন।
গ্রেফতার আবুল হোসেন (৪৭) দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানার কাঠনা গ্রামের নাজির উদ্দিনের ছেলে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে শিখা ও আবুল গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ১/২ মাস বাসা ভাড়া করে থাকতেন বলে জানায় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সহকারী পুলিশ কমিশনার( এসি সদর) ফাহিম আসজাদ।
বুধবার দুপুরে জিএমপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সদর জোনের এসি ফাহিম আসজাদ জানান, বাহির থেকে ছিটকানো লাগানো রুম থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। স্থানীয়দের থেকে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে ওই রুম থেকে শিখার অর্ধগলিত মরহেদ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধার করে আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হত্যার সাথে জড়িত আসামী আবুল হোসেন পুলিকে জানায়, কোনাবাড়ী এলাকায় শিখার মা'র বাসা থেকে রাতের খাবার খেয়ে ইসলামপুর বাসায় রাত্রীর যাপনের জন্য আসেন তারা। সেখানে ১৬ হাজার টাকা নিয়ে দু'জনার মাঝে তর্কবির্তকের একপর্যায়ে সে শিখাকে গলা টিপে হত্যা করে পালিয়ে যায়।