
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৃথকভাবে মানববন্ধন ও মিছিলের মাধ্যমে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন প্রধানের নেতৃত্বে একটি দল ‘চির উন্নত মম শির’-এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এসময় যুগ্ম-আহ্বায়ক হিমেল আহমেদ, মো. মহিউদ্দিন, হাবিবুর রহমান হাবিবসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইমরান হোসেন প্রধান বলেন, “আমাদের ভাই, ছাত্রদল নেতা সাম্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই -এই রক্তের হিসাব সরকারকে দিতেই হবে। মাদকসেবীদের অবাধ বিচরণ, প্রশাসনের নীরবতা এবং ছাত্রলীগের পৃষ্ঠপোষকতায় এ হামলা প্রমাণ করে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহিংসতাকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ছি না। সাম্যের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না।”
এদিকে, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হুসাইন ও সদস্য মামুন সরকারের নেতৃত্বে আরেকটি দল অগ্নিবীণা হলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন, "জিয়ার সৈনিক, এক হও লড়াই করো", "একশান একশান, ডাইরেক্ট একশান", "ছাত্রদলের একশান ডাইরেক্ট একশান", "বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই" ইত্যাদি।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ফরহাদ হুসাইন। তিনি বলেন, “সাম্য হত্যার প্রতিবাদে আজকের মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সাহসী নেতা মামুন সরকার এবং পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র নেতা ইসরাফিল হোসেনসহ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সংগ্রামী নেতৃবৃন্দ। জুলাই-আগস্টের পর আমরা ইতোমধ্যেই দুইজন ছাত্রদল নেতাকে হারিয়েছি। বর্তমান সরকার, প্রশাসন এবং ছাত্রলীগের সম্মিলিত ছত্রচ্ছায়ায় সন্ত্রাস বারবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রক্টর এখনো মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি, বরং নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং ঘোষণা দিচ্ছি- সাম্য হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবো।”
উল্লেখ্য, নিহত শাহরিয়ার আলম সাম্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।