
মানবিক করিডর নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ। একই সঙ্গে তিনি খুনিদের বিচারকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের প্রধান এবং প্রথম সংস্কার হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
শুক্রবার (১৬ মে) কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "আমরা ভারত, পাকিস্তান কিংবা বিদেশি কোনো শক্তির দাস হতে চাই না। মানবিক করিডর নিয়ে যেসব প্রশ্ন উঠেছে, সেগুলোর সঠিক জবাব দিতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "আওয়ামী লীগের অর্থনৈতিক কাঠামো, সাংস্কৃতিক কাঠামোসহ যেসব ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা রয়েছে, সেগুলোর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার করতে হবে।"
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "কোনো তদবির বা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়াবেন না। আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের প্রতি প্রাধান্য দিন।"
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আমাদের যে ঐক্য তৈরি হয়েছে, তা নষ্ট হলে পতিত শক্তির সুবিধা হবে। তাই জাতীয় স্বার্থের পাশাপাশি কুমিল্লার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।"
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, "এই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই কুমিল্লা বিভাগ হবে ইনশাআল্লাহ।"
তিনি আরও বলেন, "হাসিনা ও তার বাবার রাত-দিনের দুঃস্বপ্ন ছিল কুমিল্লা। তারা আবার ক্ষমতায় এলে কুমিল্লাকে একটি আলাদা রাষ্ট্র বানিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করবে।"