Date: April 30, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / বিশেষ নিবন্ধ / সুলতানী আমলে ‘ঈদ’ - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

সুলতানী আমলে ‘ঈদ’

March 31, 2025 11:04:06 PM   অনলাইন ডেস্ক
সুলতানী আমলে ‘ঈদ’

আদিবা ইসলাম:
এ বছরের ঈদ উৎসবকে আরও আনন্দময় ও জমকালো করতে রাজধানী ঢাকায় এক বর্ণাঢ্য ঈদ মিছিলের আয়োজন করা হচ্ছে, যেখানে থাকবে সুলতানী আমলের ঐতিহ্যের ছোঁয়া। অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, সময় স্বল্পতা সত্ত্বেও স্থানীয় সরকার বিভাগ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন পুরোদমে এই ঈদ মিছিল বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও জানান, সুলতানী যুগের ঐতিহ্য অনুসারে এই বিশেষ ঈদ শোভাযাত্রায় থাকছে ঐরাবত হাতি। ঈদ উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগ সর্বসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সুলতানী আমলের ঈদের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

সুলতানী আমলের ঈদ প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে প্রকৃত ইসলামের ঈদ উল ফিতর নিয়ে দুটো কথা। ঈদ মানে উৎসব বা আনন্দ। 'ফিতর' অর্থ বিদীর্ণ করা, উপবাস ভঙ্গ করা, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়া। ফিতর শব্দের মূল ধাতু 'ফা-ত্ব-রা' যার অর্থ হলো ভাঙা, খোলা, সৃষ্টি করা বা শুরু করা। ইফতার, ফিতরা শব্দগুলোও এই ধাতু থেকে এসেছে। কাজেই ঈদুল ফিতর শব্দের অর্থ হলো 'সিয়াম ভাঙার উৎসব'। রসুলাল্লাহ মক্কায় থাকা অবস্থায় কোনোদিন ঈদ করেননি, ঈদের হুকুমও আসেনি। কারণ সেই সময়টা উৎসবের সময় ছিল না, ছিল পরাধীনতার সময়, নির্যাতনের সময়। রসুলাল্লাহ সর্বপ্রথম দ্বিতীয় হিজরীতে মদিনায় রমজানের সওম পালন ও ঈদ উদযাপন করেন। কেননা তখন সেখানে ইসলামের বিজয় হয়েছে, মদিনাবাসী রসুলাল্লাহর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, একটি ক্ষুদ্র ভূখণ্ডে হলেও আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার বন্ধ হয়েছে। সে উপলক্ষে উৎসব করা যেতেই পারে। জাহেলি যুগে আরবে দুটো উৎসবের দিন ছিল।

আল্লাহও তাই রমজানের সিয়াম সাধনা ও হজ্বের কোরবানির সঙ্গে মিলিয়ে দুটো উৎসবের দিন মুসলমান জাতির জন্য নির্ধারণ করে দিলেন, একটি হল ঈদুল ফিতর, আরেকটি ঈদুল আজহা। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১১৩৬; মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ১৩৬৪৭)। আল্লাহর রসুল ঈদের দিনটি কীভাবে কাটাতেন? তিনি ঈদের দিন সকালে উঠে গোসল করে সর্বোত্তম পোশাক পরিধান করতেন। এরপর পরিবারের ছেলে মেয়ে সকলকে নিয়ে ঈদগাহে ঈদের সালাত আদায় করতে যেতেন। সালাতের পর তিনি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে খুতবা প্রদান করতেন। তার এই কথাগুলো যেন সবাই শুনতে পারে সেজন্য জামাতে উপস্থিত থাকার উপর বিশেষ তাগিদ দেওয়া হত। বিশেষ করে মেয়েরা যেন সবাই হাজির থাকে সেজন্য তিনি বাড়িতে বাড়িতে কিছু মেয়েকে পাঠাতেন। তারা সবাইকে নিয়ে আসতো। যে মেয়েদের শরয়ী ওজর থাকতো তাদেরকেও খোতবায় উপস্থিত থাকতে বলা হতো। যাদের ওড়না ছিল না, তাদেরকে বলা হত অন্য কারো ওড়না ধার করে হলেও ঈদগাহে আসতে। তিনি খোতবা প্রদানের পর পিছনের দিকে বসা মেয়েদের সারির সামনে গিয়ে তাদেরকে আবারও কথাগুলো বলতেন। তিনি ঈদের দিন। পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ খবর নিতেন। সকলের সুখে দুঃখে পাশে থাকতেন, বিশেষ করে যেসব শিশুরা জেহাদে তাদের বাবাকে হারিয়েছে তিনি তাদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। বিকেলে মসজিদের প্রাঙ্গণে কুস্তি, তলোয়ার খেলা, বর্শা নিক্ষেপ ইত্যাদি খেলাধুলার আয়োজন করা হতো। রসুলাল্লাহ তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে সেই খেলা উপভোগ করতেন।

বাংলায় রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদ উদযাপন শুরু হয় সুলতানী আমল থেকে। ১২০৪ সালে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজির বঙ্গবিজয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে মুসলিম শাসন শুরু হয়। ততদিনে ইসলামের আকিদা অনেকাংশে বিকৃত হয়ে গেলেও জাতীয় জীবনে আল্লাহর হুকুম-বিধান ও সংস্কৃতি সুলতানরা প্রবর্তন করেছিলেন। এই সুলতানী যুগকেই বলা হয় বাংলার ইতিহাসের স্বর্ণযুগ। সুলতানরা অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে ঈদ পালন করতেন। বাংলার সুলতানী যুগের সমাপ্তি হয় আফগান কররানি শাসনের মধ্য দিয়ে। হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী সেই কররানি বংশের উত্তরপুরুষ। ১৫৬৩-১৫৭৬ পর্যন্ত তাজ খান কররানি, সোলায়মান খান কররানি, বায়াজীদ খান কররানি ও দাউদ খান কররানি স্বাধীন সুলতান হিসাবে বাংলা শাসন করেন। তাঁরা ত্রিপুরা থেকে ভারতের উত্তর প্রদেশ, হিমালয়ের কোল থেকে দক্ষিণে পুরি পর্যন্ত বিরাট ভূখণ্ডের সুলতান ছিলেন। এই বংশের শেষ সুলতান দাউদ খান কররানি ১২ জুলাই ১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজমহলের যুদ্ধে মুঘল সাম্রাজ্যের আগ্রাসনের হাত থেকে বাংলার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য জীবন উৎসর্গ করেন। পরবর্তীতে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর (১৬০৫-১৬২৭) সুলতান বায়াজীদ খান কররানির পুত্র সাইদ খান পল্লীকে ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রাজশাহীর বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে গঠিত আতিয়া পরগনার জায়গির প্রদান করেন। প্রখ্যাত আতিয়া মসজিদটি তাঁরই প্রতিষ্ঠা করা। তারাই ব্রিটিশ যুগে টাঙ্গাইল করটিয়ার জমিদার হিসাবে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। হাজার বছরের ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার এই সুলতানী পরিবারের কীর্তি বাংলার ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাংলাদেশে ইসলামের আগমন হয়েছে সুলতানী যুগে। তারপর থেকে ভারতবর্ষসহ সমগ্র বাংলায় ইসলামের বিধি-বিধান, সভ্যতা সংস্কৃতির চর্চা হয়েছে সাড়ে পাঁচশো বছর ধরে (১২০৪-১৭৫৭)। জাতীয় জীবনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা, সামাজিক জীবনে ইসলামের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ ঘটানোর জন্য এই পরিবারের সন্তান মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী হেযবুত তওহীদ আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেছেন যা বর্তমানে দেশজুড়ে অগণিত মানুষের প্রাণের স্পন্দনে পরিণত হয়েছে।

সুলতানী আমলে ও মুঘল কীভাবে ঈদ হতো সেটা এবার জানা যাক। ঐতিহাসিকদের মতে, রাজধানী গৌড় ও সোনারগাঁওয়ের ঈদগাহ ময়দানে বিশাল জনসমাগম হতো। মুসলমানরা সুন্দর পোশাক পরিচ্ছদ পরে শোভাযাত্রা করে ঈদগাহে যেত। সুলতান ও তাঁর দরবারের উঁচু পর্যায়ের ব্যক্তিরা ঈদের নামাজে যোগ দিতেন। নামাজের পর সবাই একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাতেন, কোলাকুলি করতেন।

ঈদুল ফিতরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা প্রদান। সুলতান ও অভিজাত শ্রেণির লোকেরা গরিবদের মধ্যে খাদ্য ও অর্থ বিতরণ করতেন। সাধারণ জনগণও তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দান করত। সুলতানের দরবারে বিশেষ ঈদ উৎসবের আয়োজন করা হত। অভিজাত ও সাধারণ জনগণের জন্য বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হত। এদিন সুলতান তাঁর দরবার উন্মুক্ত করে দিতেন যাতে সাধারণ জনগণ তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে পারে। পাশাপাশি তিনি জনগণের সুখ-দুঃখের কথাও শুনতেন এবং অনেক সময় বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিতেন। পরবর্তীতে মুঘল আমলেও ঢাকায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করা হত। মুঘলরা ঢাকায় এসেছিল ১৬১০ সালে। তখন তাদের পাঠানো নায়েব-নাজিমরা এখানে ঈদ উদযাপন করতেন। ঈদের চাঁদ উঠলে তারা আনন্দ-উৎসব শুরু করতেন। কামান দাগা হত। সুবাদার মুর্শিদকুলী খান ঈদের দিন ঢাকার দুর্গ থেকে ঈদগার ময়দান পর্যন্ত একক্রোশ পথে প্রচুর পরিমাণ টাকাকড়ি ছড়িয়ে দিতেন। এভাবে দান করা সে সময়ে ঈদের রেওয়াজ ছিল। [সূত্র: বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস (১ম খণ্ড)- মুহম্মদ আসাদুজ্জামান।

বর্তমানে আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এবার সুলতানী আমলের মতো ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে। যদি সত্যিই সুলতানী যুগের যে ইতিহাস উপরে বর্ণনা করলাম এমন কিছু হয় তাহলে তা নিঃসন্দেহে সাধুবাদ পাবার যোগ্য। কিন্তু সামগ্রিক জীবনে কোর'আনের হুকুম, আল্লাহর দীন প্রত্যাখ্যান করে, মানবরচিত জীবনবিধান মেনে নিয়ে সুলতানী যুগের অনুকরণে হাতিঘোড়া সাজিয়ে ঈদ মিছিল করলেই কি ঈদ সার্থক হবে? ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। আমরা আজ যে অনিরাপদ সমাজে বাস করছি, যেভাবে অরাজকতা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লুটপাট, গণহিংস্রতা, পাশবিকতা, নারীর উপর লাঞ্ছনা, ধর্ষণ-গণধর্ষণ চলছে, এমন অবস্থায় সুলতানী আমলের অনুকরণে ঈদ করে কারো রাজনৈতিক সুবিধা হাসিল হতে পারে, কিন্তু জাতির সংকট নিরসনে তা কোনো ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে না, এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। তারপরও বাংলার স্বর্ণ যুগ সুলতানী আমলের ঐতিহ্য আমাদের জন্য গৌরবের, সেই গৌরবকে বাস্তবকে ফিরিয়ে আনতে হলে আল্লাহর দীন দিয়ে আমাদের সামগ্রিক জীবন পরিচালনা করতে হবে। কারণ ঈদ উদযাপনের পূর্বশর্ত ছিল এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যেখানে জনগণ আল্লাহ তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত হবে। তারা শৃঙ্খলা, আনুগত্য, ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা, সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হবে। সমাজের প্রতিটা মানুষ আল্লাহর হুকুমের আনুগত্য করবে। তারা হবে মো'মেন, একে অপরের ভাই ভাই। তাদের যাদের সমাজে কোন অপরাধ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, সম্পদ হারানোর ভয় থাকবে না। তারা কেউ কারো শত্রু হবে না। কেউ কাউকে মারতে চাইবে না। হত্যা, ধর্ষণ, গুমের তো প্রশ্নই আসে না। এমন সমাজ কায়েমের পরই আল্লাহর রসুল (সা.) মদীনায় প্রথম ঈদ উদযাপন করেছিলেন। এমন একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই ছিল ইসলামের মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য। এমন সমাজ প্রতিষ্ঠা হলেই ঈদ সত্যিকার আনন্দ বয়ে আনবে। কিন্তু আজ আমরা ঈদের আনন্দের উপভোগ করার মতো সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারি নি। যে সমাজে আছিয়ার মতো নিষ্পাপ একটি শিশু নিরাপদে বাঁচতে পারে না সেখানে ঈদের আনন্দ কতটুকু স্বতঃস্ফূর্ত হতে পারে?

তাছাড়া দীর্ঘদিন থেকে ইসলামের তাহজিব-তমুদ্দিন, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে অবদমন করার জন্য নানা দিক থেকে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ইসলামি সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি একধরণের হীনম্মন্যতা ও ভয়ভীতি (ইসলামোফোবিয়া) প্রবেশ করানো হয়েছে। ইসলামের সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হয় নি। চৌদ্দশো বছর আগে ইসলাম সমগ্র আরব উপদ্বীপে কেমন বিশাল বিপ্লব ঘটিয়েছিল, কেমন রেনেসাঁর জন্ম দিয়েছিল তা এই একবিংশ শতাব্দির তরুণদের অজানা। পাশাপাশি পশ্চিমা মিডিয়ার ইসলাম বিদ্বেষী প্রচারণা মানুষের মনে নানা ভুল ধারণার জন্ম দিয়েছে। ফলে বর্তমান প্রজন্ম ইসলামি মূল্যবোধ, সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে পশ্চিমা সংস্কৃতি, রীতি-নীতি, কৃষ্টি-কালচার, অভ্যাস-অনভ্যাসকেই আধুনিকতা মনে করে। ইসলামকে তারা ব্যক্তিগত ধর্মীয় আচরণের বেশি কিছু মনে করে না। ইসলাম দিয়ে তাদের সমাজ ও রাষ্ট্র চলবে এটা তারা কল্পনাও করতে পারে না। এর কারণ ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে তাদের অপরিসীম অজ্ঞতা ও অবজ্ঞা। তাদেরকে সেই শিক্ষা দিতে হবে যেন তারা আল্লাহর দীনকে সামগ্রিক জীবনে কায়েম করতে অনুপ্রাণিত হয়। সে লক্ষ্যে এখন আমাদের মুখ্য কর্তব্য হওয়া উচিত পুরো জাতিকে এক আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে একজন নেতার অধীনে ঐক্যবদ্ধ করা এবং আল্লাহর দীন জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠা করা। তাহলে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে। তখন সকলে মিলে রসুলাল্লাহর যুগের ন্যায় সত্যিকারের ঈদ পালন করা সম্ভব হবে, যা সমাজের সকল মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে। [লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট; যোগাযোগ: ০১৭১১০০৫০২৫, ০১৭১১৫৭১৫৮১, ০১৭১১২৩০৯৭৫]