
লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা:
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনার পর সালিশি বৈঠকে কিশোরীকে অপবাদ ও পরে তাদের বাড়িতে গিয়ে কিশোরীসহ তার মায়ের চুল কেটে এলাকায় ঘোরানোর হুমকির পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার পর হেলাল উদ্দিন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৬ মার্চ দুপুরে ঘর থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলা হলেও ৬ মার্চ সকালে সালিশি বৈঠকে উপস্থিত এক ব্যক্তি তাদের বাড়িতে গিয়ে কিশোরীসহ তার মায়ের চুল কেটে এলাকায় ঘোরানোর হুমকি দেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
ভুক্তভোগী পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১ মার্চ রামগতির পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামের ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। পরদিন ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় সালিসি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেখানে কোনো বিচার পায়নি ওই কিশোরী। উল্টো তাকে অপবাদ দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে কিশোরীকে বাড়িতে রেখে তার মা বাড়ির পাশের জমিতে ফসল দেখতে যান। তখন সালিসি বৈঠকে থাকা হেলাল বাড়িতে ঢুকে কিশোরীসহ তার মায়ের চুল কেটে এলাকায় ঘুরানোর হুমকি দেন। পরে ওইদিন দুপুরে পুলিশ তার বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় শুক্রবার (৭ মার্চ) ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রামগতি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাকিবসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এতে হেলালকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। প্রধান অভিযুক্ত রাকিব পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামের খবির উদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- মো. আজাদ, জামশেদ উদ্দিন ও মো. বাশারসহ ১০ জন। তারা পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামের বাসিন্দা।
রামগতি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ভিকটিমের মা থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।