
হাতীবান্ধা সংবাদদাতা, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় সেফটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া ছাগল উদ্ধার করতে নেমে নূর আমিন(১৯) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে নেমে বোন জামাই জাহিদুল ইসলামও গুরুত্বর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সাড়ডুবি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত নূর আমিন(১৯) উপজেলার বড়খাতা ইউপির পূর্ব সাড়ডুবি গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে। এছাড়া আহত জাহিদুল ইসলাম একই এলাকর বাসিন্দা এমদাদুল হকের ছেলে ও নিহতের বোন জামাই।
এ বিষয়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জহরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বড়খাতা ইউপির পূর্ব সাড়ডুবি গ্রামে নিহত নুর আমিনের বাড়ির পিছনে একটি সেফটিক ট্যাংকে ছাগল পড়ে যায়। সেই ছাগলকে উদ্ধার করতে সেখানে নামেন নূর আমিন। তিনি সেখানেই অচেতন হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে সেখানে নামলে বোন জামাই জাহিদুল ইসলামও জ্ঞান হারান। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে জরুরী বিভাগের দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক নূর আমিনকে মৃত ঘোষনা করেন। এ সময় গুরুত্বর অবস্থায় জাহিদুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনারুল হক বলেন, সেফটিক ট্যাংকিতে অতিরিক্ত গ্যাসক্রিয়ার ফলে নূর আমিনের মৃত্যু হয়েছে। জাহিদুল ইসলাম নামের অপর একজনের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষনিক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি, অত্যন্ত দুঃখ জনক। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।