
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নিজের কন্যা সন্তানকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন এক বাবা-মা। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় মেয়েটির বাবা জাহিদুল ইসলাম, মা মোর্শেদা বেগম এবং চাচী শাহিনুর বেগমকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার (১২ মে) রাতে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করে।
গ্রেফতার জাহিদুল ইসলাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের কাগজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। নিহত জান্নাতি খাতুন (১৫) স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং জাহিদুল ইসলামের কন্যা।
পুলিশ জানায়, জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার প্রতিবেশী মজিবর রহমানের প্রায় ৩২ বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গত শনিবার গভীর রাতে স্ত্রী মোর্শেদা বেগম ও ভাইয়ের স্ত্রী শাহিনুর বেগমের সহযোগিতায় নিজের মেয়ে জান্নাতিকে রড ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি। পরে মরদেহ ভুট্টা খেতে ফেলে খড়ের পালায় আগুন লাগিয়ে দেন তারা।
নিহতের চাচা খলিল হক (৫৫) এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর কুড়িগ্রাম থানার একটি টিম ও ডিবি পুলিশের যৌথ উদ্যোগে তদন্ত শুরু হয়। মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করে পুলিশ।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও ডিবি ওসি বজলার রহমান জানান, “মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি মো. হাবিবুল্লাহ ও ডিবি টিমের নিরলস চেষ্টায় মূল ঘাতক ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।”
এ নৃশংস ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।