
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ধান শুকানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। শুধু তাই নয় ওই বিদ্যালয়ের আর একটি শ্রেণি কক্ষে প্রতিনিয়ত চলে রান্নার কাজ। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন কার্যক্রম নিয়ে চলছে আলোচনা সামলোচনার ঝড়।
আর ঘটনাটি ঘটেছে হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের তরুগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ওই বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণি কক্ষে মেঝেতে ভেজা ধান রাখা হয়েছে। ওই ভেজা ধান গুলো শুকাতে ব্যবহার করা হচ্ছে শ্রেণি কক্ষের সরকারি ফ্যান। অপর দিকে আর একটি কক্ষে দেখা যায় যে রান্নার রয়েছে ইলেক্ট্রনিক চুলা, হাড়ি পাতিলসহ রান্না কাজে ব্যবহৃত নানা পণ্য। স্কুল চলাকালীন ওই কক্ষে প্রতিদিন চলে শিক্ষকদের খাবারের আয়োজন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের ইচ্ছে খেয়ালমত স্কুল পরিচালনা করেন। মন চাইলে স্কুল আসে না চাইলে আসে না। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তারা উলটো ভয় ভিতি ও হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে তরুগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অতি সুন্দর রায় বলেন, এটি অনেক আগের পুরোনো ভিডিও। বিদ্যালয়ের চাবি শিক্ষক শোভা রানীর নিকট ছিল। তিনি তার বাড়ির ধান শুকিয়েছেন। পরবর্তীতে আমরা তার কাছ থেকে চাবি নিয়ে নেই। তাকে এ ধরনের কাজ আর না করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার মিঠুন বর্মন বলেন, এটা কখনো কাম্য নয়। আমি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, আমি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।