
৮০ বছরের পৈতৃক দোকান হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির খান। রংপুর নগরীর হাড়িপট্টি রোড়ের প্রবেশমুখে মেসার্স খান এন্ড সন্স নামের দোকানটি পরিচালনা করতেন তার পিতা মরহুম তোফাজ্জেল হোসেন খান। পিতার মৃত্যুর পর জীবিকার তাগিদে দোকানটি পরিচালনা করেন ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির খান।
রবিবার ( ২৮ আগস্ট) রংপুর গোমস্তপাড়া নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের তিনি বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় বিনানোটিশে আকস্মিকভাবে পুলিশ স্কট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ কোর্টের নজির এসে দোকানটি ছেড়ে দিতে বলেন এবং কাগজপত্র দেখতে চাইলে অক্ষম হন তারা।
তার অভিযোগ, একপর্যায়ে ধাক্কা মেরে তাকে বের করে দেয়া হয় এবং দোকানের ডেকোরেশন ভেঙে কিছু জিনিসপত্রসহ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তবে নষ্ট হয়ে দোকানের অনেক মালামাল, পাওয়া যায় নি। এমনকি দোকানটি টিনদিয়ে ঘেরাও করে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে সিলগালা করা হয়। এই পরিস্থিতিতে পরিবার নিয়ে নিঃস্ব ও অসহায় হয়ে আইনের দারস্থ হন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মামলার জাবেদা নকল তুললে আইনজীবী দেখে বলেন হাইকোর্টে আপোস মীমাংসা হয়েছে কথাটি শুনামাত্রই হতবাক তিনি। পরে তিনি জানতে পারেন তার মামলা নং ১১৮০/২০১৭ এর ২৩/৬/২০২২ তারিখে এ ধরনের কোন অর্ডার হয়নি। এরপর ঢাকা হাইকোর্টে গিয়ে মামলার জাবেদা নকল তুললে তার মামলা নং সুপ্রিম কোর্ট এ্যাপিলেড ডিভিশন লিভ টু আপিল নং ১১৫৮/২০২৩। রংপুর সদর কোর্টের সিনিয়র সহকারী জজ আশফাকুর রহমান হাইকোর্ট সিভিল ডিভিশনের ১১৮০/২০১৭ নম্বর আদেশের মোকদ্দমা কপিতে আপসের কথা বলা হয়ছে তা নিতান্তই সঠিক নয়। সত্য হলে মামলি তখনই নিষ্পত্তি হওয়ার কথা।
এদিকে বর্তমানে নিঃস্ব অবস্থায় মামলাটি পরিচালনায় বিজ্ঞ জেষ্ঠ্য ব্যারিস্টার নিয়োগ করার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আইনের সহয়তা চান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচরে হাইকোর্টের সন্দেহজনক অর্ডারটি ও রংপুর সদর কোর্ট, এই রায়টির কাগজপত্র পর্যালোচনার জন্য আইনের সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে দোকানটি ফিরে পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন তিনি।