
কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
কাউনিয়া উপজেলায় শনিবার রাতে কালবৈশাখী ঝড়ে পুরোনো খেজুর গাছের নীচে চাপা পড়ে মোফাজ্জল হোসেন মিলিটারী (৫৮) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ঝড়ের কারণে শতাধিক ঘরবাড়ি ও সহস্রাধিক গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এছাড়া, ঝড়ে বৈদ্যুতিক তারে গাছপালা পড়ে সারা উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। উঠতি ফসল ইরি-বোরো ধান, ভুট্টা, বাদাম, মরিচ, কুমড়া, পাট, শষা, পটল, করলা, শাকসবজি এবং কলা বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হাজার হাজার আম ও লিচুর গুটি বাতাসে ঝড়ে পড়ে গেছে।
শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঝড়ের সময় অটোরিকশা দেখার জন্য ঘর থেকে বাইরে বের হলে পুরোনো খেজুর গাছ ভেঙে মোফাজ্জল হোসেন মিলিটারির গায়ে পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে হারাগাছ ৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, অবস্থার অবনতি হলে রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ২টার দিকে তিনি মারা যান। তিনি উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার হক বাজার নয়াটারী গ্রামের মৃত আছান উদ্দিনের পুত্র।
কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে উপজেলার হারাগাছ পৌরসভা, হারাগাছ, সারাই, কুর্শা, শহীদবাগ, বালাপাড়া, টেপামধুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সহস্রাধিক গাছপালা ভেঙে পড়েছে এবং উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নাজিরদহ একতা উচ্চ বিদ্যালয় ও ইমামগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের টিনশেড ঘরের টিন ও বারান্দার টিন উড়ে গেছে।
নাজিরদহ গ্রামের কৃষক কোবাদ আলী ও আব্দুল মজিদ জানান, তাদের জমির ভুট্টা গাছ ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। নিজপাড়া গ্রামের কৃষক লোকমান আলী বলেন, তার জমির ধান মাটিতে নেতিয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাঃ তানিয়া আকতার জানান, ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি, তবে ধান পাট, ভুট্টা গাছ মাটিতে হেলে পড়লেও তেমন ক্ষতি হবে না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুল হক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তথ্য এখনও তাদের কাছে নেই। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের নিকট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা চাওয়া হয়েছে।