Date: October 26, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / সিলেট / কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী নাফিয়া হত্যা: প্রধান আসামি ১৮ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী নাফিয়া হত্যা: প্রধান আসামি ১৮ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার

June 16, 2025 07:36:25 PM   অনলাইন ডেস্ক
কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী নাফিয়া হত্যা: প্রধান আসামি ১৮ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় স্কুলছাত্রী নাফিয়া জান্নাত আনজুম (১৫) হত্যাকাণ্ডের ১৮ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত প্রতিবেশী মো. জুনেল মিয়াকে (৩৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এসব তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার জানান, গত ১২ জুন সকালে উপজেলার দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা নাফিয়া জান্নাত আনজুম পার্শ্ববর্তী সিংগুর গ্রামে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তার পরিবার কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। এর দুই দিন পর, ১৪ জুন বিকেলে, পরিবারের সদস্যরা বাড়ির পাশের একটি ছড়ার ধার থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ খুঁজে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং কুলাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

হত্যাকাণ্ডের পর রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশের একাধিক দল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা এবং কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেনের নেতৃত্বে কুলাউড়া থানার ওসি মো. গোলাম আবছার ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংগ্রহ করেন।

এ সময় ছড়ার পাশের ঝোপ থেকে আনজুমের স্কুলব্যাগ, বই ও একটি জুতা উদ্ধার করা হয়। তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, প্রতিবেশী জুনেল মিয়ার মোবাইলে পর্নোগ্রাফি দেখার অভ্যাস রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে।

জুনেলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে আনজুমকে উত্ত্যক্ত করছিল এবং তার সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপনের চেষ্টা করে আসছিল। ঘটনার দিন, ১২ জুন সকালে, আনজুম প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে জুনেল তার পথরোধ করে। আনজুম প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলে যেতে চাইলে জুনেল পেছন থেকে তাকে জাপটে ধরে। এ সময় আনজুম চিৎকার করলে জুনেল তার গলা চেপে ধরে। একপর্যায়ে আনজুম অচেতন হয়ে পড়লে সে তাকে পাশের ঝোপে ফেলে পালিয়ে যায়।

পরে জুনেলের দেওয়া তথ্যমতে, কিরিম শাহ মাজার সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানের পাশ থেকে আনজুমের ব্যবহৃত বোরকাটিও উদ্ধার করে পুলিশ। মাত্র ১৮ ঘণ্টার মধ্যে এমন চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামিকে গ্রেপ্তার করায় স্থানীয়রা পুলিশের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।