
পাবনার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার কিশোরগঞ্জে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে একদল উগ্রবাদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এতে হেযবুত তওহীদের তিন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ বিকালে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জঙ্গিবাদ-ধর্মব্যবসা-সাম্প্রদায়িকতা রোধে গণসচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ বিকালে পৌরসভা বাজারে হেযবুত তওহীদের কয়েকজন সদস্য পত্রিকা ও বই বিক্রি করতে বের হয়। এক পর্যায়ে দাড়ি-টুপিধারী এক ব্যক্তি তাদের হাত থেকে বই কেড়ে নিয়ে হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এমামুয্যামানের নামে অশ্রাব্য গালি-গালাজ করতে াকে এবং ফোন করে তার সাঙ্গপাঙ্গকে ডেকে আনে। পরে হেযবুত তওহীদের সদস্যরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে াকলে এই সুযোগে সে তার অনুসারীদের বিভিন্ন বানোয়াট কথা বলে, মিথ্যা গুজব রটিয়ে উস্কে দিতে থাকে।
হেযবুত তওহীদের সদস্যরা মার্কেটের ভেতর ঢুকে গেলে সন্ত্রাসীরা নানা ধরনের হুমকি দিতে াকে। একপর্যায়ে তারা মার্কেটের ভেতর প্রবেশ করে সদস্যদের উপর আক্রমণ করে। এসময় তাদের জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে, এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারতে াকে, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মার্কেটের বাইরে অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে থানায় বিষয়টি অবহিত করা হলে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আহতদের কিশোরগঞ্জ সদর হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলম দৈনিক দেশেরপত্রকে বলেন, “হামলার ঘটনা জানার পরপরই তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।” এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ, গত ২৩ আগস্ট একইভাবে ধর্মব্যবসায়ীদের ষড়যন্ত্রে পাবনায় হেযবুত তওহীদের কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলায় সুজন মণ্ডল নামে এক সদস্য নিহত হন। উগ্রবাদীরা ধারালো দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কার্যালয়ে অবস্থানরত হেযবুত তওহীদের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাথাড়িভাবে কোপাতে থাকে। তাদের আঘাতে সংগঠনটির পাবনা জেলা সভাপতি সেলিম শেখসহ আরো ১৫/১৬ জন সদস্য আহত হয়। এর প্রতিবাদে সারাদেশে হেযবুত তওহীদের মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান অব্যাহত রয়েছে।