
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা:
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরের ১১ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, বৃক্ষরোপণ, ঢাকা-মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া সড়কে রেল লাইন এবং নিরাপদ সড়কসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় ঘিওর উপজেলার ঢাকা- আরিচা সহাসড়কের জোকা এলাকায় মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব, রেইনবো থিয়েটার, ঘিওর প্রেসক্লাব, তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর স্মৃতি পরিষদ, বারসিক, কবি নজরুল-প্রমীলা সাহিত্য ও সাংষ্কৃতিক পরিষদ, কাকজোর গোল্ডেন স্পোটিং ক্লাবসহ বিভিন্ন বিভিন্ন সংগঠন এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে।
মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানুর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি অ্যাড দীপক কুমার ঘোষ, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, ঘিওর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রামপ্রসাদ সরকার দীপু, বারসিকের জেলা সম্বনয়কারী বিমল রায়, তারেক মাসুদ-মিশুক মনির স্মৃতি পরিষদের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক রিপন আনসারী, সাংবাদিক আব্দুল মোমিন, রেইনবো থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা নাট্য পরিচালক গিনি আলম, বারসিকের গবেষক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৩ আগষ্ট সকালে কাগুজের ফুল সিনেমার সুটিং স্পট দেখে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে ঢাকা ফিরছিলেন প্রখ্যাত চলচিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ, তার স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, বিশিষ্ট সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ ৯ জনের একটি দল। পথিমধ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক এলাকায় তাদের বহনকৃত মাইক্রোবাসটি পৌছালে বিপরীত গামী চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহরে বাসের সঙ্গে সংর্ঘষ বেধে যায়।
এসময় মাইক্রোস বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ প্রডাকশন সহকারী ওয়াসিম, জামাল এবং মাইক্রোবাস চালক মুস্তাফিজুর রহমানসহ ৫জন নিহত হন। সেই দুর্ঘটনায় আহত হন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিল্পী ঢালী আল মামুন ও তার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম জলি।