
বাউফল উপজেলা:
পটুয়াখালীর বাউফলে জমিজমার বিরোধের জের ধরে (ভাগ্নি) পলি বেগম (৩২) ও তার সন্তান মোঃ মাহিম খান (১৫)কে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে ভুক্তভোগী পলি বেগম'র আপন মামা নুরু খান(৫০) এর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) ভোর আনুমানিক ৫:৩০ টার দিকে উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের চর কারখানা গ্রামে ভুক্তভোগীদের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরে স্বজনরা গুরুতর জখম অবস্থায় পলি বেগম ও তার ছেলে মাহিম খানকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং বর্তমানে ওখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
যানা গেছে,'ভুক্তভোগী পলি বেগম ১৫ শতাংশ জমি ১৬ বছর আগে ক্রয় করেছেন বাড়ি করার জন্য আপন মামা হারুন খান এর কাছ থেকে।ওই সময় থেকেই জমি ভোগদখল করে আসছেন পলি বেগম।কিন্তু,মামা নুরু খান ভাগ্নির সরলতার সুযোগ নিয়ে দলিল পরে দেওয়ার কথা বলে স্ট্যাম্পে লিখিত করে দিয়েছিল।এখনও দলিল দেয়নি মামা নুরু খান।উক্ত জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মামার সঙ্গে ঝামেলা চলছে। স্থানীয় শালিসগণ দফায় দফায় কয়এবার শালিস করেছেন কিন্তু তাতেও কোন সমাধানে আসেনি। স্থানীয় শালিসি ও আইনকানুন তোয়াক্কা করে না মামা নুরু খান।
ওই জমির বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার ১০ আগস্ট হঠাৎ ভোর ৫:৩০ মিনিটের দিকে মামা নুরু খান(৫০),মিলন খান (২০),মেহেদী খান (১৫) ও কাকলি আক্তার (২০) সহ দলবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগী পলি বেগমের বসত ঘরে ঢুকে আতর্কিত হামলা চালায় এবং বসতঘর ভেঙে চুরমার করে নিয়ে যায়। ঘরে থাকা পলি বেগম ও তার ছেলে মাহিম খান প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার দা,চাপাতি, লাঠিসোঁটা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে পলি বেগমের বাম হাত ও পায়ে কোপ পরে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম হয়। অপরদিকে, ছেলে মাহিমের বাম পায়ে কোপ পরে রক্তাক্ত জখম হয়।মাহিম আফালকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
এ বিষয় ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শামিম আকন বলেন, মামা-ভাগ্নির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে ঝামেলা চলছে। আমরা স্থানীয় ভাবে একাধিকবার সমাধান করলেও মানছেন না প্রতিপক্ষরা।তবে বৃহস্পতিবার ভোরে পলি বেগমের বসত ঘর ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি।