
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাকের তেলিরচালা এলাকায় লগোজ এপারেলস কারখানার ঝুট (পরিত্যক্ত মালামাল) ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে লগোজ এপারেলস লিমিটেড কারখানার ঝুট ব্যবসা কোনো দলের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। সম্প্রতি বিএনপির দুই গ্রুপ—গাজীপুর জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব এডভোকেট রফিকুল ইসলাম ও কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সদস্য হারুন অর রশিদ—এ ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল থেকে রফিকুল ইসলাম ও তার সমর্থকরা এবং হারুন অর রশিদ ও তার সমর্থকরা কারখানার সামনে মহড়া দিতে থাকেন। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে মোশারফ হোসেন, সইজউদ্দিন, আবুল হোসেন, জয়নাল হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, "উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লগোজ কারখানার ঝুট ব্যবসা স্থগিত রাখা হয়। কিন্তু শনিবার এডভোকেট রফিকুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে গোপনে ঝুট বের করতে গেলে আমরা বাধা দিই। তখন তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।"
অন্যদিকে, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম বলেন, "কারখানা কর্তৃপক্ষ মোশারফ হোসেনের নামে ঝুটের ডিও দেয়। পরে কারখানা থেকে মালামাল বের করতে গেলে হারুন অর রশিদের সমর্থকরা বাধা দেয়। এতে ধাক্কাধাক্কি হয় এবং কয়েকজন আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।"
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, "ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"