
গত কয়েকদিন ধরে পাবনায় তীব্র গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠে গেছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। সর্দি-কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া ও আমাশয়সহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশুরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, যা অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুর ও দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষজন। প্রচণ্ড গরমে তারা সঠিকভাবে কাজকর্ম বা দৈনন্দিন কার্য সম্পাদন করতে পারছেন না। অন্যদিকে, বয়স্ক ও শিশুরাও এই গরমে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অতিরিক্ত গরমে বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, আর শিশুরা ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহের তুলনায় আজ ২২ এপ্রিল, মঙ্গলবার, পাবনায় সর্বোচ্চ গরম অনুভূত হয়েছে। যদিও তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবু অনুভূত হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। সকাল থেকেই রোদের তীব্রতা না থাকলেও ভ্যাপসা গরমে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সকল বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এই তাপদাহে ভুগছেন। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
এ বিষয়ে পাবনা শহরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, পহেলা বৈশাখের পর থেকেই হঠাৎ করে গরম ব্যাপক বেড়ে গেছে। গত কয়েকদিন রোদের তীব্রতা প্রচণ্ড ছিল, তবে আজ রোদের তীব্রতা না থাকলেও গরম আরও বেশি অনুভূত হয়েছে। এই অস্বাভাবিক গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং তাদের জনমনে নাভিশ্বাস উঠে গেছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকেও তেমন কোনো সুখবর মেলেনি। কবে এই তাপদাহ কমবে কিংবা কবে স্বস্তির বৃষ্টি নামবে সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই গরমের প্রকোপ কিছুটা কমে আসতে পারে এবং শীতল আবহাওয়ার সঙ্গে স্বস্তির বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তারা আরও জানিয়েছেন, এই তীব্র গরমে সকল বয়সী মানুষকে সাবধানে থাকতে হবে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশু-কিশোরদের বেশি যত্ন নিতে হবে। তাদের বেশি করে পানি পান করাতে হবে এবং যতটা সম্ভব ঠান্ডা পরিবেশে রাখতে হবে। একই সঙ্গে অহেতুক রোদে বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং বেশি করে পানি ও পানিজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।