
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তার সমর্থিত একটি যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি কার্যকরের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এই ঘোষণার পর কাতারের রাজধানী দোহায় মঙ্গলবার আলোচকরা চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করতে বৈঠক করেছেন।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, মধ্যস্থতাকারীরা সোমবার রাতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সমঝোতার বিষয়ে বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেছেন। আলোচনার বিষয়ে অবহিত এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দোহায় চূড়ান্ত খসড়া উভয় পক্ষকে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এক ভাষণে বাইডেন বলেন, “এই চুক্তি জিম্মিদের মুক্ত করবে, লড়াই বন্ধ করবে, এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়ানোর সুযোগ দেবে।”
যদি এই চুক্তি কার্যকর হয়, তবে এক বছর ধরে চলা অস্থির আলোচনা ও গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটবে। এটি হবে প্রথমদিকের যুদ্ধবিরতির সময় হামাসের মুক্তি দেওয়া ইসরায়েলি জিম্মিদের পর সবচেয়ে বড় মুক্তির ঘটনা।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভান সাংবাদিকদের বলেন, “চুক্তি সম্পন্ন করার ভালো সুযোগ রয়েছে।” যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, “বলে এখন হামাসের কোর্টে।”
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আক্রমণের পর শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েলের হামলায় ৪৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং গাজার অবকাঠামো প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চুক্তির আওতায় ৩৩ জন জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। হামাস জানিয়েছে, মূল সমস্যাগুলোর অগ্রগতি হয়েছে এবং দ্রুত একটি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।