
আদালত প্রতিবেদক:
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর মো. নোমানের এজলাসে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ও স্বাভাবিক বিচারকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন পিরোজপুরের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন।
গতকাল হাইকোর্টে গিয়ে তিনি ক্ষমা চান। এ সময় বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ ক্ষমা গ্রহণ এবং রুল নিষ্পত্তি করে আদালত অবমাননার দায় থেকে আলাউদ্দিনকে অব্যাহতি দেন। আদালতে পিপির পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। এর আগে এক মামলায় এহসান রিয়াল এস্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্স লিমিটেডের উপদেষ্টা মো. হাফিজুর রহমান ছিদ্দীকের জামিন শুনানিকালে পিপির বিরুদ্ধে এজলাসে স্বাভাবিক বিচারকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর জানান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু জাফর মো. নোমান। এরপর রেজিস্ট্রার জেনারেল বিষয়টি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বরাবরে উপস্থাপন করেন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে শুনানির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন কোর্টে পাঠাতে নির্দেশ দেন। সে অনুসারে বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। ১৭ অক্টোবর শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার রুলসহ খান মো. আলাউদ্দিনকে তলব করে আদেশ দেন। ১৫ নভেম্বর তাকে হাইকোর্টে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সে অনুসারে পিপি হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। এরপর হাইকোর্ট তাকে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে রুল নিষ্পত্তি করেন।