
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
নতুন কারিকুলাম আসন সংকট। জটিলতায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চারটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারেনি শতাধিক শিক্ষার্থী। এতে চরম বিপাকে পড়েছে ওই শিক্ষার্থীরা। বছরের প্রথম দিন অন্য সহপাঠীরা নতুন বই হাতে বাড়ী ফিরলেও তারা ফিরেছে শূন্য হাতে। ১ জানুয়ারি বই উৎসবের আনন্দ নেই তাদের। অভিভাবকদের মধ্যেও হতাশা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষকরা বলছেন, বছরের প্রথম দিন ভর্তি হতে না পেরে মন খারাপ কিংবা হতাশার কোনো কারণ নেই। এখন যারা ভর্তি হতে পারেনি পরবর্তী সময়ে লটারীর মাধ্যমে অন্য স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তা ছাড়া একাধিক স্কুলেও আসন ফাঁকা আছে, সেখানেও তারা ভর্তি হতে পারে।
উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাগজানা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬০ থেকে ৬৫ জন, রসুলপুর উচ্চ বিদ্যালয় পাঁচ, শাইলটি রায়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় হাতিনাদী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০৬, রতনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০ শিক্ষার্থী সব মিলিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী এখনো ভর্তি হতে পারেনি।
অভিভাবকরা বলছেন, আগে বাড়ীর পাশে স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করে দিতাম, চিন্তা থাকতো কম। এখন বাড়ীর পাশে স্কুল ভর্তি না নেওয়ায় দুরবর্তী স্কুলে যেতে হচ্ছে। এতে ছেলেমেয়েদের খরচের বিষয় থেকে শুরু করে নিরাপত্তা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। আমরা চাই, নিজ নিজ এলাকার স্কুলে আমাদের ছেলেমেয়েদের ভর্তি নেওয়া হোক।
উপজেলার শাইলট্রি রায়গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনছুর রহমান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ষষ্ঠ শ্রেণীতে ৫৫ শিক্ষার্থীর অতিরিক্ত ভর্তি না নেওয়া গেলেও আমার স্কুলে অতিরিক্ত সাত শিক্ষার্থীকে ভর্তি করে নিয়েছি, যা এরই মধ্যে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। যেহেতু আমার স্কুলটি প্রত্যন্ত গ্রামে, তাই অনেক গরীব শিক্ষার্থী আছে, তারা হয়তো ঝরে পড়ে যাবে। তখন তাদের দিয়ে কোটা পূরণ করব।
পাঁচবিবি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে। এখন যেসব শিক্ষার্থী এক স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না, তারা অন্য স্কুলে ভর্তি হতে পারবে। তা ছাড়া এ বিষয়ে পরবর্তী কোনো নির্দেশনা এলে সেটি সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।