
মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃআবু তৈয়েবুর রহমানের উপর নিজ দলের প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছে। নিজ গ্রাম নাওভাঙ্গাতে গত রবিবার (২০ আগষ্ট) রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই তামিমও আহত হয়েছে। আবু তৈয়বের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় ধানমন্ডি নিউ লাইফ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় সেখানে দুই গভীর পর্যবেক্ষণে থাকার পর আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আহত তামিম জানান, গত ২০১১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মিজানুর রহমান বিশ্বাসের পক্ষে নৌকার নির্বাচন করেছিলো তার বড় ভাই তৈয়ব,সেই সময়কার তৈয়েবের গলাায় ঝুলানো নৌকা প্রতীকের একটি ছবি একই গ্রামের ফুলমিয়ার ছেলে সেচ্ছাসেবক দলের পদ প্রত্যাশী জিবলুর রহমান বিভিন্ন মন্তব্য করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে ফেসবুকের সেই ছবি ডিলিট করার জন্য বলা হলে তৈয়েবকে ছলিমের চর ফুলটুনির দোকানের সামনে আসতে বলে। সেখানে যাওয়ার পর আগে থেকে ওতপেতে থাকা লোকজন আমাদের উপর পরিকল্পিত হামলা শুরু করে। এতে আমার মাথায় আঘাত লাগে এবং আমার ভাইকে তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। এতে তার মাথার পিছনের দিকে বেশ কয়েকটি কোপ লাগে।
এর আগে শনিবার মাগুরায় সেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে নাওভাঙ্গা থেকে জিবলুর ভ্যানে তৈয়েব মাগুরা যেতে যেয়ে রাড়িখালী মোড়ে নেমে অন্য গ্রুপের সাথে মাগুরায় যাওয়ায় জিবলু ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ দিনই ফেসবুকে তৈয়েবকে আওয়ামীলীগের লোক আখ্যা দিয়ে সেই সময়ের (২০১১ সালের) তৈয়েবের গলায় ঝুলানো একটি ছবি দিয়ে মহম্মদপুর উপজেলার বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে বলেন, আওয়ামীলীগের লোক ছত্রদলের এতবড় পদ পায় কি করে।তৈয়বের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে পড়েছে,তার মৃত্যুর খরব শুনে উত্তেজিত জনতা কয়েকটি বাড়ীতে ভাংচুর করে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বোরহানুল ইসলাম বলেন, নতুন করে সংঘাত এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।