
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, এটি ছিল একটি সুনির্দিষ্ট হামলা, যার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর মালিকানাধীন একটি ভবন। এ হামলার একদিন আগে লেবাননের দক্ষিণে হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ে ইসরায়েল তাদের সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন দেখেছিল।
রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, বৈরুতের বাশুরা এলাকায় পার্লামেন্টের কাছাকাছি একটি ভবনে জোরালো বিস্ফোরণ ঘটে। সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সালের পর থেকে এটিই ইসরায়েলের প্রথম হামলা, যা বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে আঘাত হেনেছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন। লেবাননের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা গেছে, ভবনটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর প্রথম তলায় আগুন জ্বলছে।
জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়ক জেনিন হেনিস-প্লাশকার্ট সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “বৈরুতে আরেকটি নির্ঘুম রাত। বিস্ফোরণের শব্দে শহর কেঁপে উঠেছে, কোনো সতর্কতামূলক সাইরেন নেই। সামনে কী ঘটবে, তা জানি না। ভয় আর উদ্বেগ সর্বব্যাপী।”
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈরুতের দক্ষিণে দাহিয়া এলাকায় তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, যেখানে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দক্ষিণ লেবাননের গ্রামের বাসিন্দাদের তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে নিষেধ করেছে এবং তাদের অভিযানের অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে।
বুধবার হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের এক চোরাগোপ্তা হামলায় আটজন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়, যা ইসরায়েলের পাল্টা অভিযানের প্রেক্ষাপট তৈরি করে।
আইডিএফ জানিয়েছে, তাদের অভিযান মূলত হিজবুল্লাহর টানেল ও অন্যান্য অবকাঠামো ধ্বংসের উদ্দেশ্যে, এবং বৈরুত বা লেবাননের অন্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে বড় ধরনের অভিযান চালানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।