
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত এবং ১১৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে লেবানিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষ নেতা, যা একটি নিরাপত্তা সূত্র নিশ্চিত করেছে। বৈরুতের কেন্দ্রে এটি গত এক মাসে ইসরায়েলের তৃতীয় হামলা। হামলার পর শহরে দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়, যদিও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
সাধারণত ইসরায়েলের আগের হামলাগুলো বৈরুতের দক্ষিণ অংশে চালানো হলেও, এবার মধ্যাঞ্চল আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল। হামলার পর শহরের একটি বড় অংশে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণ মানুষ আতঙ্কে পালাতে শুরু করে। একই দিনে ইসরায়েল জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরেও গোলাবর্ষণ করে, যেখানে দুইজন ইন্দোনেশীয় শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। ইতালি এবং স্পেনের সরকার এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে, তারা হিজবুল্লাহর অবস্থানের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছিল। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলের এই অভিযানে লেবাননে এখন পর্যন্ত ১,২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে গাজার পাশাপাশি লেবাননে ইসরায়েলের এই আক্রমণ অঞ্চলের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।