
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম মানিককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। গত বৃহস্পতিবার বাইশারী শিয়ালকাঠি এলাকায় ব্রীজ সংলগ্ন সড়কে মানিকের পরিবার ও এলাকাবাসী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা শহিদুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে তাকে হয়রানি ও গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানান।
জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাইশারী গ্রামে দফাদার বাড়ির মিজানুর রহমান বাবুল মিয়ার ঘরে এক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর পরের দিন, ২২ এপ্রিল, মিজানুর রহমান বাদী হয়ে পার্শ্ববর্তী গরদ্দার গ্রামের শহিদুল ইসলাম মানিকসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে বানারীপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মানববন্ধনকারীরা জানান, শহিদুল ইসলাম মানিক এবং বাইশারী ইউনিয়নের গরদ্দার গ্রামের সবুর খানের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। অভিযোগ রয়েছে, সবুর খান ও তার বাহিনী এই বিরোধের প্রতিশোধ নিতে ষড়যন্ত্র করে শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিয়েছে।
শহিদুল ইসলামের পরিবার জানায়, অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে এবং তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন। এ অবস্থায়,শহিদুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া ইসলাম শান্তা ও তার পরিবারসহ এলাকার বাসিন্দারা মানববন্ধন আয়োজন করে শহিদুল ইসলামের মুক্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা শহিদুল ইসলাম মানিকের সম্পর্কে বলেন, তিনি একজন সৎ ও ন্যায্য মানুষ, এবং তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
এছাড়া শিয়ালকাঠি গ্রামের কামাল খলিফা (৩৫) জানান, "শহিদুল ইসলাম মানিক কখনো এমন কাজ করতে পারেন না। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।"
মানববন্ধনে উপস্থিত থাকার কারণে সবুর খান (৪৫) কর্তৃক কামাল খলিফাকে প্রাণে মারার জন্য তার বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সবুরের নির্দেশে তার বাহিনী কামালকে তার বাড়িতে আক্রমণ করে এবং কামাল প্রাণ বাঁচাতে পাশের গ্রামের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে সবুর খানের বাহিনী কামালকে গ্রাম ছাড়া করে দেয়। বর্তমানে কামাল জীবনের নিরাপত্তাহীনতা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং তার পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এ ব্যাপারে সবুর খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।