Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / জাতীয় / মানিকগঞ্জে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে উগ্রবাদ মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক কর্মী সভা - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্...

মানিকগঞ্জে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে উগ্রবাদ মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক কর্মী সভা

August 08, 2023 12:35:42 PM   নিজস্ব প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে উগ্রবাদ মোকাবেলায় করণীয় শীর্ষক কর্মী সভা

মানিকগঞ্জে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য উগ্রবাদ মোকাবেলায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে হেযবুত তওহীদের সভাপতি মহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি ডা. মাহফুজ আলম মাহফুজ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক এসএম সামসুল হুদা, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শফিকুল আলম উখবাহ, কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ উপকমিটির সদস্য শাহনেওয়াজ খান, পীর মোহাম্মদ হাসানুল্লাহ, ওলামা লীগের মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা ছামছুল হক জামালী, হেযবুত তওহীদের ঢাকা জেলা সভাপতি ইউনুস মিয়া প্রমুখ।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ডা. মাহফুজ আলম মাহফুজ বলেন, বর্তমানে মানবজাতি এমন এক ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছি যেখানে শুধু অশান্তি, যুদ্ধ, রক্তপাত, জুলুম, নির্যাতন হানাহানি, মারামারি। আর এই সময়ে মুসলমান জাতি কোন’আন হাদিসের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে হাজারো ভাগে বিভক্ত। কিন্তু এক আল্লাহ এক, রাসুল (সা.) এক, কিতাব এক। তাহলে এমন কেন হলো?

তিনি আরও বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) সকালে এক কথা বললেন, আবার বিকালে অন্য কথা বললেন এটা কি কখনো হতে পারে? পারে না। রাসুল (সা.) কোন সাধারণ মানুষ ছিলেন না। তিনি একজন মহামানব, আখেরী নবী, শেষ নবী, বিশ্ব নবী, আল্লাহর পক্ষ থেকে মনোনীত, তিনি সকালে এক কথা বিকালে আরেক কথা বলতে পারেন না। তাহলে আজকে কেন রাসুল (সা.) এর নামে দিয়ে তারা এক একজন এক এক রকম কথা বলছেন?

তিনি বলেন, আমাদের দেশে ইসলাম নিয়ে রাজনীতি চলে। মানুষের ধর্মানুভূতিকে ব্যবহার করছে। এই দলে ভোট দেও, তাহলেই তুমি জান্নাতি। কেউ কেউ বলছে ভোট দিয়ে জান্নাতে যাওয়া যাবে না, আসো এই দলের মুরিদ হও, এই পীরের মুরিদ হলে জান্নাতে যাওয়া যাবে। কেউ বলছে এভাবে হবে না আসো এখানে আসো আমাকে টাকা দাও আমি দোয়া করব। আমি দোয়া পড়বো ব্যাস্ তুমি জান্নাতে চলে যাবে। তোমার হাজার বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে তুমি জান্নাতে চলে যাবে। কেউ বলছে এভাবে হবে না, আসো বাড়ি বাড়ি গিয়ে, মানুষকে নামাজের দাওয়াত দেই। আসুন নামাজ পড়ো, তাহলে তোমরা জান্নাতে চলে যাবে। অর্থাৎ হাজারো ভাগে এরপর এখন আবার কি হয়েছে আরেক দল বের হয়েছে না এভাবে হবে না আসো জিহাদ করতে হবে আল্লাহ কুরআনে বলেছেন জিহাদ করতে হবে, আসো বোমা বাধো মানুষ মারো, তাহলে তুমি জান্নাতে চলে যাবে। এখন আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন ইসলামে যাওয়ার পথ জান্নাতে যাওয়ার পথ কি এতগুলো? না না কখনোই নয়। আল্লাহ একজন রাসূল (সা.) একজন আমাদের কেতাব একটা। জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা-পথ একটা। আজকে আমি আপনাদের সামনে বলতে চাই, আজকে আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছিলেন, বনি ইসরাঈল জাতি মধ্যে ৭২ ভাগের বিভক্ত হয়েছিল, আমার উম্মত ৭৩ ভাগে বিভক্ত হবে। এর মধ্যে ৭২ ভাগ যাবে জাহান্নামে। একভাগ শুধু জান্নাতে যাবে। সেই ৭২ ভাগে বিভক্ত হয়ে ইসলামকে টুকরা টুকরা করে করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মাননীয় এমাম একটা উদাহরণ দেন যে, আজকের ইসলাম হাজারো ভাগে বিভক্ত হয়ে দুর্বল হতে হতে আরও দুর্বল হয়ে গিয়েছে।

উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এই যে একটা টিস্যু এই টিস্যু এটা কেন? ঘাম মুছার জন্য। আমি যদি এই টিস্যু টুকরা টুকরা করতে থাকি, ছোট টুকরা দিয়ে কি আমি ঘাম মুছতে পারবো? আজকের আল্লাহর দেওয়া, সেই রাসূলের (সা.) দেয়া ইসলাম টুকরা হয়ে দুর্বল হয়ে গিয়েছে এবং দুর্বল হয়ে এই এক টুকরো আরেক টুকরাকে বলছে আমি ঠিক তুই কাফের, আমি ঠিক তুই কাফের। নিজেদের মধ্যে কথা বলে বিভক্ত হয়ে মারামারিতে লিপ্ত। আর আজকে পৃথিবী পরিচালনায় করছে কারা? সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তি। তারা আমাদেরকে শোষণ করে শাসন করে আমাদেরকে গোলাম বানিয়ে রেখেছে। কিন্তু আমাদের ভেতরে, আত্মায় হৃদয়ে একটুকুও উপলব্ধি নেই। যে সমাজে গাইরুল্লাহর হুকুম বিধান চলে সেই সমাজে যেখানে আল্লাহর হুকুম বিধান প্রতিষ্ঠা করতে হবে, ন্যায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা না করে আমরা নিজেরা কামড়াকামড়িতে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত হয়ে একজন আরেকজনকে কাফের ফতোয়া দিচ্ছি। আমি আপনাদের সামনে শুধু এতটুকু বলতে চাই যে, আজকে ইসলামের নামে যত ভাগ, যত ফেরকা তরিকা সৃষ্টি হয়েছে এই তরিকা মাযহাব কোনটাই আল্লাহ রাসুলের ইসলাম নয়। আল্লাহর রাসূলের ইসলামে যদি এখন আমাদেরকে ফিরে আসতে হয় তাহলে আবার সেই আল্লাহর রাসূল যে তওহিদের আহ্বান করেছেন, যে কলেমা আহ্বান করেছেন ইয়া আইয়ুহান নাস কুল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু তুফলিহুন অর্থাৎ হে মানুষ সকল তোমরা ঘোষণা দাও যে আমরা আল্লাহর হুকুম-বিধান ছাড়া কারো হুকুম -বিধান মানবো না -এই কথার মধ্যে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ বলেন, আমরা যে দলের হই না কেন, যে ফেরকার হই না কেন, যে মাযহাবের হই না কেন, যে তরিকার হই না কেন আমাদেরকে এখন একটি কথার মধ্যে আসতে হবে যে, যেখানে আল্লাহর হুকুম আছে সেখানে আর কারো হুকুম মানবো না। এই কথার মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হলে হবে না, আমাদের একজন নেতা লাগবে। যখন নেতার নেতৃত্বে প্রতিটা হুকুম আমরা অনুসরণ করবো, পালন করব তখন গিয়ে এই জাতি আবার পৃথিবীতে পরাশক্তি হবে ইনশাল্লাহ। সমস্ত পৃথিবীতে আজকে হানাহানি যুদ্ধ-বিগ্রহ। এই যে অন্যায় অত্যাচার এই সমস্ত অন্যায় অত্যাচার দূর হয়ে ন্যায়, শান্তি, সুবিচার এবং আল্লাহর রাসুলের সেই প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য দাঁড়িয়েছে হেযবুত তওহীদ।
তিনি আরও বলেন, ইনশাআল্লাহ হেযবুত তওহীদ দিয়ে এই সমস্ত পৃথিবীতে আবারও তার দিনের হক সত্য প্রতিষ্ঠা হবে ইনশাআল্লাহ। পৃথিবীর কোন শক্তি নেই, কোন পরাশক্তি নেই যে,  হেযবুত তওহীদ এর বিজয়ে রুখে দাঁড়াতে পারে। হেযবুত তওহীদ দিয়ে আগামী বিশ্ব পরিচালনা হবে ইনশাল্লাহ।

পরিশেষে তিনি মানিকগঞ্জ জেলার হেযবুত তওহীদের সকল সদস্যকে মানিকগঞ্জের প্রতিটা মহল্লায়-মহল্লায়, পাড়ায়-পাড়ায়, প্রতিটা জনপদে তৌহিদের বাণী পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান।

হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক এসএম সামসুল হুদা তার বক্তব্যে বলেন, হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী মানুষের মাঝে ইসলামের প্রকৃত রূপ তুলে ধরতে ১৯৯৫ সালে হেযবুত তওহীদ আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন। হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি একটি স্বার্থান্বেষী ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠীর দ্বারা, যারা ধর্মকে পুঁজি করে ব্যবসা করে, জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে, অপরাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে তাদের দ্বারা ব্যাপক হয়রানি ও বিরোধিতার সম্মুখীন হচ্ছে। এই শ্রেণিটি হেযবুত তওহীদের বক্তব্যের বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করতে ব্যর্থ হয়ে হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের পথ বেছে নিয়েছে। নিজেদের কায়েমী ও গোষ্ঠী স্বার্থকে চরিতার্থ করতে তারা হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে এভাবেই প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এখন সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ যারা ইসলাম সম্পর্কে তেমন জানে না, বুঝে না যারা ইসলাম সম্পর্কে জানার জন্য এই ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠীটির মুখাপেক্ষী, তারা হেযবুত তওহীদ সম্পর্কে এই শ্রেণিটির অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হচ্ছেন, হেযবুত তওহীদকে ভুল বুঝছেন। কিন্তু যখন গণমাধ্যম এবং সিভিল সার্ভিসে কর্মরত ব্যক্তিবর্গও তাদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হন তখন সত্যিই অবাক হতে হয়। দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসে যারা একটি আইন মান্যকারী বৈধ সংগঠনের ব্যাপারে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হন তখন বিষয়টি সত্যিই খুবই দুঃখজনক। কয়েকদিন আগে পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে আমাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা মহিলাদের দিয়ে কেন নামাজ পড়ান?’ আমি প্রশ্নটা শুনে খুবই অবাক হলাম। তিনি আমাকে এই প্রশ্ন করেননি যে, ‘আপনারা কি মহিলাদের দিয়ে নামাজ পড়ান?’ বরং প্রশ্ন করলেন, ‘কেন নামাজ পড়ান?’ অর্থাৎ তিনি ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠীটির হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে করা অপপ্রচারটি বিশ্বাস করে নিয়েছেন যে, আমরা মহিলা ইমাম দিয়ে নামাজ পড়াই। তো আমি যখন তাকে এই অপপ্রচারের জবাব দিলাম, মিথ্যা জালিয়াতি তুলে ধরলাম, প্রমাণ দিলাম তখন তার ভুল ধারণা দূর হয়। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা যে, ধর্মব্যবসায়ীদের অপপ্রচার দ্বারা আমাদের দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণও বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তাহলে একজন নিরক্ষর লোক, একজন রিক্সাচালক কিংবা দিনমজুরও এমন প্রতারণার শিকার হওয়া তো মামুলি ব্যাপার হয়ে দাাঁড়াবে।

তিনি বলেন, যারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছেন, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন আপনাদের তো সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে হবে। যারা অপপ্রচার রটায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। যেহেতু আমি একই সাথে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছি, তাই যেকোনো কিছু আমাকে মানবাধিকারের দৃষ্টিতে দেখতে হয়। আমি বিশেষ করে প্রশাসনিক এবং গণমাধ্যমের ব্যক্তিবর্গকে বলব স্বাধীন বাংলাদেশে, প্রত্যেক মানুষের অধিকার রয়েছে সংগঠন করার, সভা-সমাবেশ করার, তাদের ধর্ম পালন করার। এটা প্রত্যেকের মানবাধিকার। এই অধিকার জন্ম থেকে সে নিয়ে আসে। এই মানবাধিকার রক্ষা করার দায়িত্ব প্রশাসনের এবং কোথাও কোনো স্থানে তা লঙ্ঘিত হলে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান নেওয়ার দায়িত্ব গণমাধ্যমের। কিন্তু হেযবুত তওহীদের বেলায় আমরা তার ব্যতিক্রম হতে দেখি। তাই আমরা প্রশাসন এবং গণমাধ্যমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, যারা এখনো ধর্মব্যবসায়ীদের অপপ্রচারে অন্ধ হয়ে আছেন আপনারা চোখ খুলুন, দেখুন, শুনুন, সত্য জানুন এবং কোথাও যেন মানবাধিকার লঙ্ঘন না হয় সে ব্যাপারে সজাগ ও সর্তক দৃষ্টি রাখুন। আপনারা ধর্মব্যবসায়ীদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। ধর্মব্যবসায়ীদের প্রতারণার বিরুদ্ধে মানুষকে সতর্ক করা ও তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আপনাদের নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব।

ঢাকা জেলা সভাপতি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, অনেক জল্পনা-কল্পনার পর মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসন আমাদের এই প্রোগ্রামের অনুমতি দিয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে মানিকগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় জেলা সভাপতিকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

সাটুরিয়া থানার পীর মোহাম্মদ হাসানুল্লাহ বলেন, আপনারা যারা হেযবুত তওহীদের দলে কাজ করছেন, আমি মনে করি পৃথিবীতে একমাত্র দল হেযবুত তওহীদের কথাই সত্য। তবে ধর্মব্যবসায়ীরা মানিকগঞ্জে খুব কৌশল করে বাধার সৃষ্টি করছে। এই ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণিটি প্রতিটি সমাজে বিরাজমান। সাটুরিয়া থানায় ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রকৃত সত্যদ্বীন প্রচারে হেযবুত তওহীদের সকল কার্যক্রমে সহযোগিতা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এছাড়া ওলামা লীগের মানিকগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা ছামছুল হক জামালী বলেন, বাংলাদেশে ইসলামের নামে যারা ধর্মব্যবসা করে, দেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চায়, ইসলামকে ধ্বংস করতে চায়, তাদের প্রতিবাদী কণ্ঠ হেযবুত তওহীদ। যেসব ইসলামী স্কলাররা একে অপরকে কাফের ফতোয়া দেয়, যারা ৬৪ জেলায় বোমা ফাটিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, যারা আলেম সমাজকে হেয় করেছে তাদের আতঙ্ক হেযবুত তওহীদ। হেযবুত তওহীদের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।