Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / আন্তর্জাতিক / রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের বছরে প্রয়োজন ৮৫ কোটি ডলার - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের বছরে প্রয়োজন ৮৫ কোটি ডলার

March 14, 2024 11:11:13 AM   আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের বছরে প্রয়োজন ৮৫ কোটি ডলার

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও এর অংশীদার মানবিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগণের সুরক্ষা ও সহায়তায় ৮৫ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলারের (প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে ৯ হাজার ৩৭৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা) তহবিল চেয়েছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জেনেভায় বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবেলায় ২০২৪ সালের কর্মকাণ্ডের যৌথ পরিকল্পনা বা ‘জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের (জেআরপি)’ আওতায় ওই সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আশ্রিত রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগণ মিলিয়ে মোট সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের সহায়তায় ওই সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশের উদারতায় এ দেশে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় পেয়েছে।

তাদের বেশির ভাগই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছে সাত বছর আগে।
কর্মপরিকল্পনা ও আনুষঙ্গিক আর্থিক চাহিদা গতকাল জেনেভায় দাতাদের সামনে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি এবং জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক এমি পোপ।

জাতিসংঘ জানায়, মিয়ানমারে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের এই সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি এবং শরণার্থীদের সুরক্ষা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। যৌথ কর্মপরিকল্পনায় যুক্ত থাকছে ১১৭টি সংস্থা, যার প্রায় অর্ধেকই বাংলাদেশি।

এর লক্ষ্য কক্সবাজার ও ভাসান চরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা ও তিন লাখ ৪৬ হাজার স্থানীয় জনগণকে খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানি, সুরক্ষা পরিষেবা, শিক্ষা, জীবিকামূলক কাজের সুযোগ এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে সহায়তা করা।

জাতিসংঘ জানায়, বাংলাদেশে প্রায় ৯৫ শতাংশ রোহিঙ্গা পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তারা মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। এই জনগোষ্ঠীর ৭৫ শতাংশেরও বেশি নারী ও শিশু।

তারা শোষণ ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন টেকসই সহায়তা। পুরো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অর্ধেকেরও বেশি সদস্যের বয়স ১৮ বছরের কম। তাদের শিক্ষা, দক্ষতা-উন্নয়ন ও জীবিকামূলক কাজের সুযোগ সীমিত। এই মানবিক সংকট যখন বৈশ্বিক মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছে, তখন ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগণ ও দাতব্য সংস্থাগুলোর প্রয়োজন টেকসই আন্তর্জাতিক সমর্থন।