Date: November 27, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / খেলাধুলা / লিটন দাস কি বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন? - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

লিটন দাস কি বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন?

November 27, 2025 12:23:37 PM   ক্রীড়া ডেস্ক
লিটন দাস কি বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন?

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক লিটন দাস অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। যদিও তিনি অধিনায়ক হিসেবে ভালো কিছু পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন—টানা তিনটি সিরিজ জেতা, এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছানো—তারপরও তিনি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

লিটন দাস ২০২৪ সালের শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হন। তবে এর আগেই তিনি দলের অপ্রকাশিত “কাণ্ডারি” হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন। তার অধীনে বাংলাদেশ ২০২৪ সালের শেষ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়ক হওয়ার পর প্রথম দুটি সিরিজে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং পাকিস্তানের কাছে হেরে গেলেও, এরপর দলটি আর পেছনে ফিরে তাকায়নি।

লিটনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ জিতে এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত ফাইনালের আশা রাখে। যদিও আফগানিস্তান সিরিজে তিনি উপস্থিত ছিলেন না, দলটি ৩-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে। যদিও মাঝে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরাজয় হয়েছে, তবুও দলটি ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভালো মোমেন্টামে রয়েছে।

তবে অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্তের মূল কারণ হলো তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। বিশেষ করে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের জন্য নির্বাচকরা তার পরিকল্পনা বা মতামত জানানো ছাড়াই শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে দল থেকে বাদ দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিটন স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, এটি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং পুরোপুরি নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, “আমাকে পুরোপুরি বলা হয়েছে নির্বাচক প্যানেল ও বোর্ড থেকে, আমাকে যে দলটা দেওয়া হবে, সেই দল নিয়েই মাঠে কাজ করতে হবে। আমার এখানে কোনো কথা থাকবে না যে কোন খেলোয়াড় থাকবে বা থাকবে না। অধিনায়ক হওয়া মানে দলের গঠন নিয়ন্ত্রণ করা—এখন তা সম্ভব হচ্ছে না।”

প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানান, অধিনায়ককে সব সিদ্ধান্তের অনুমতি দেওয়া তাদের দায়িত্বের অংশ নয়। তিনি বলেন, “আমাদের কারও অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই। আমরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে মতামত ভাগাভাগি করেছি। এরপরও দল গঠন করা আমাদের কাজ।”

এভাবে অধিনায়কের মতামত বা স্বতন্ত্র ভূমিকার ওপর হস্তক্ষেপ চলতে থাকলে লিটনের জন্য নেতৃত্ব দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে লিটন নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার অধিনায়কত্ব অব্যাহত থাকবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। ফলে, বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট আবারও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।