Date: April 30, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / বিশেষ নিবন্ধ / সর্বধর্মীয় সম্মেলনের প্রাপ্তি - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

সর্বধর্মীয় সম্মেলনের প্রাপ্তি

July 01, 2024 02:55:20 PM   রিয়াদুল হাসান

রিয়াদুল হাসান:
হেযবুত তওহীদ গত এক দশক থেকে সব ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে আলোচনা সভা করে আসছে। কখনও খোলা মাঠে জনসভা করে, কখনও কোনো মন্দিরে গিয়ে, কখনও কোনো অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স রুমে অথবা কোনো অডিটোরিয়ামে। একটি ইসলামী সংগঠন কেন অন্য ধর্মের নেতৃবর্গ ও অনুসারীদের নিয়ে বৈঠক করে এ নিয়ে সর্বমহলেই একটি গুঞ্জন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, অনেক লোক কন্টেন্ট বানিয়ে ভাইরাল হচ্ছেন। সেকুলার সমাজ গড়ার জন্য যারা আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন, লেখালেখি করছেন, রাজনীতি করছেন তাদের মনেও নানা জিজ্ঞাসা। এসব কৈফিয়ৎ দেওয়ার জন্যই এ লেখার অবতারণা।

সম্প্রতি (৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সর্বধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল। এর আগে (৯ নভেম্বর ২০২৩) সেগুনবাগিচার হোটেল ৭১ এর কনফারেন্স কক্ষে একটি গোলটেবিল বৈঠক হয়েছিল। এর মধ্যবর্তী সময়ে জেলা পর্যায়ে আরো অনেকগুলো অনুষ্ঠান হয়েছে। এই অনুষ্ঠানগুলোতে এসেছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের নেতৃবৃন্দ, পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ, রামকৃষ্ণ মিশনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ, চার্চের বিশপ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্বের শিক্ষকবৃন্দ। আরো এসেছেন সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীগণ যারা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রেখে থাকেন। তাদের সামনে আমাদের বক্তব্য উপাস্থাপন, তাদের মন্তব্য জানা ও প্রশ্নের জবাব দেওয়া ছিল অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য। বলা বাহুল্য অনুষ্ঠানের ব্যয় বহন করেছে হেযবুত তওহীদ।

এবার আসি মূল কথায়। ভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতি আমাদের মনোভাব ছোট বেলাতেই গড়ে ওঠে। আমরা আমাদের পরিবার, শিক্ষকমণ্ডলি ও প্রতিবেশীদের থেকে যা শিখি সেটাই সারাজীবন মনের মধ্যে থেকে যায়। হিন্দু ও মুসলমান যে পরস্পরের আপন হতে পারে না, এই জ্ঞান উভয় সম্প্রদায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে বেড়াচ্ছে। তারা একে অপরকে কেবল পর মনে করছে না, ঘৃণাও করছে। একে অপরের বাড়িতে খেতে বসে মনের মধ্যে বাধা অনুভব করছে। মানুষ হলেও নিচু শ্রেণির মানুষ বলে ভাবছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক পটভূমিতে ধর্মীয় দাঙ্গা, দেশবিভাগ, রিফিউজি সংকট, দ্বিজাতিতত্ত্ব ইত্যাদির অনেক সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়েছে উভয় সম্প্রদায়ের মনোজগতে। ধর্মীয় বিদ্বেষ, পরস্পরের ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতা, নিজেদের ধর্ম সম্পর্কেও ভুল জ্ঞান ইত্যাদি আমাদের মধ্যে বাধার প্রাচীর নির্মাণ করে রেখেছে। হেযবুত তওহীদ সেই প্রাচীরটা ভেঙে সব ধর্মের মানুষকে একটি মোহনায় মিলিত করতে চাচ্ছে। সেখানে তারা অনুধাবন করবে যে, সৃষ্টিগতভাবে তাদের মধ্যে আসলে কোনো বিভেদ নেই। যদি থাকত তাহলে তাদের সবার গায়ের রক্ত লাল হত না, একে অপরকে তা দিতেও পারত না। ধর্মীয়ভাবেও আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। এই বিষয়টা ব্যাখ্যাসাপেক্ষ যা আমাদের অনুষ্ঠানের মুখ্য বক্তা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে যারা আসেন তাদের বেশিরভাগ ধর্মবিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ হলেও কেউ কেউ থাকেন কট্টর ধার্মিক, কেউ বা কট্টর ধর্মবিদ্বেষী। ধর্মবিদ্বেষটা ইসলামের বিরুদ্ধেই বেশি। শিক্ষিত অসাম্প্রদায়িক চিন্তায় যারা বিশ্বাসী তাদের সঙ্গে হেযবুত তওহীদের চিন্তার একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। সেটা হল, তারা তাদের নিজেদের ধর্মের ভিত্তিতে কিন্তু অসাম্প্রদায়িক নয়। তারা নিজেদের ধর্মের পরিচয়ে পরিচিত হতেও নারাজ। ধর্মকে বাদ দিয়ে একটি ভিন্ন সাংস্কৃতিক মঞ্চে তারা পরস্পরের প্রতি ঐক্যচেতনা প্রকাশ করছেন। যেমন সঙ্গীতে, সাহিত্যে, শিল্পকলায় তারা সবাই ধর্মকে বর্জন করে এক হয়েছেন। অনেক সংগঠনে হিন্দু-মুসলিম সবাই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করছেন। সেখানে বলেই দেওয়া হচ্ছে- ধর্ম নিয়ে কোনো আলোচনা করা যাবে না। কারণ ধর্ম তাদেরকে এক হতে দেবে না। তাদের জ্ঞানমতে ইসলাম সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে, নাচ গান বাদ্যকে, আনন্দ উৎসব করাকে, নারী পুরুষের যৌথ কর্মকাণ্ডকে অনুমতি দেয় না। এমনকি মেয়েদেরকে শাড়ি পরা বা টিপ লাগানোতেও নাকি ইসলাম ধর্মের আপত্তি- কারণ এগুলো হিন্দুয়ানী। এজন্য ধর্মকে সাথে নিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, প্রগতিশীল সমাজ গড়ে তোলা অসম্ভব বলেই তারা মনে করেন। হেযবুত তওহীদের অনুষ্ঠানে এসে, আমাদের বক্তব্য শুনে তারা হতবাক হয়ে যান এটা জেনে যে, ইসলাম এগুলোর কোনোটাকেই নিষিদ্ধ করেনি। আমাদের এই বক্তব্য তো কেবল মুখের কথা নয়, আমরা কোর’আন হাদিস থেকে তাদের সামনে দলিল তুলে ধরে দেখিয়ে দিচ্ছি যে, ইসলাম কেবল হারাম করে অশ্লীলতা, মিথ্যাচার, অত্যাচার। ইসলাম কোনো সাজগোজ হারাম করে না, গান বাজনা হারাম করে না, যে কোনো বৈধ কাজে নারী ও পুরুষের যৌথ অংশগ্রহণ হারাম করে না, দেশীয় কৃষ্টি, পোশাক, সংস্কৃতি ও উৎসব অনুষ্ঠানকে হারাম করে না। এগুলো দেখে সকলেই বিস্মিত হন। যে ইসলামকে তারা এতদিন ধরে ঘৃণা করে এসেছেন, ভেবেছেন এই ধর্ম ভয়ংকর, তাদের সেই ভুল ধারণা ভেঙে দিচ্ছে হেযবুত তওহীদ। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তারা হেযবুত তওহীদের এমামের বক্তব্য শোনেন, তাঁর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। বলেন, এ জাতীয় কথাগুলো আরো বেশি বেশি হওয়া দরকার। জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।

সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি অসম্মানের দৃষ্টিভঙ্গি। ভারতে যেমন মুসলমানেরা এই অসম্মানের শিকার তেমনি আমাদের দেশে হিন্দুরা। আর নানা ইস্যুতে সংখ্যালঘুরা দাঙ্গা ও হামলারও শিকার। আমাদের দেশে হিন্দু ও মুসলমান একসঙ্গে চলছে ফিরছে, কাজ করছে, বন্ধুত্ব করছে কিন্তু একটা নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে তারা উভয়েই দাঁড়িয়ে যায়। সেটা হচ্ছে, সংখ্যালঘু হিন্দুরা মনে করেন যে তারা এদেশে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক, তারা নির্যাতনের শিকার, তারা সামাজিকভাবে হেয়তার শিকার। তাদের এই দুঃখ তারা আমাদের অনুষ্ঠানে উজাড় করে বলেন। হিন্দু তার জমি হারানোর কথা বলেন, সংখ্যা হারানোর কথা বলেন। বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানরাও তাদের বঞ্চনার কথাগুলো বলেন। তারা যে মুসলমানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন, এটা আসলে বন্ধুত্ব নয়- এক প্রকার সন্ধি। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায় হিসাবে আমরা বলি যে, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর সেটা ধর্মকে বাদ দিয়ে নয়, বরং চিরন্তন সনাতন শাশ্বত সত্য ধর্ম দিয়ে।

এই জায়গাটা অনেকের মনে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে। তাহলে কি আমরা সবাইকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলামে আসতে বলছি? এটা তো সম্ভব নয়। যারা নাস্তিক তারা তো স্রষ্টার অস্তিত্বেই বিশ্বাস করে না। তারা কেন স্রষ্টার হুকুমের ভিত্তিতে এক হতে যাবে? আর যারা সেক্যুলার তারা তো ধর্মীয় সংগঠন করবে না। তাহলে হেযবুত তওহীদ ইসলাম নিয়ে কীভাবে এগোতে চাচ্ছে? এর সর্বধর্মীয় ঐক্য গঠনের রূপরেখাটা কী? ধর্মই তো মিলনের বড় বাধা।

এই প্রশ্নের জবাবে আমরা বলছি, স্রষ্টা যেমন একজন, ধর্মও তেমন একটি। স্থান-কাল-পাত্রভেদে এর ভাষা, আনুষ্ঠানিকতা ও বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য আলাদা হলেও সব ধর্মের মূল বিশ্বাস, মূল কথা ও নৈতিক মূল্যবোধগুলো এক। একই গাছের দুটো শাখার মত, একই নদীর স্থানভেদে ভিন্ন নামধারণের মত। যেমন সব ধর্মই এক স্রষ্টায় বিশ্বাসী, এক পিতামাতার থেকে মানবজাতির উদ্ভবে বিশ্বাসী, পরকালের স্বর্গ নরকে বিশ্বাস। সব ধর্মেই চুরি, ব্যভিচার, ধর্ষণ, ডাকাতি, হত্যা মহাপাপ। আমাদের সমাজে যদি স্রষ্টার দেওয়া ব্যবস্থা থাকত তাহলে এইসব অন্যায় বন্ধ হত এটাই আমাদের কথা।

স্রষ্টার সেই বিধান সবার ধর্মেই সুস্পষ্ট। এখন দরকার সেটা প্রতিষ্ঠা করা। এই অন্যায়গুলো বন্ধ হোক তা ধর্ম-বর্ণ, আস্তিক-নাস্তিক, সেক্যুলার-কম্যুনিস্ট-গণতন্ত্রী সবার চাওয়া। কিন্তু পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধ অনুসরণ করে আমরা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ লাভ করছি, মেট্রোরেল ফ্লাইওভার নির্মাণ করছি, কিন্তু সমাজে মানবিক অধঃপতনের কারণ আমাদের বের করতে হবে। এ কোন শিক্ষা যে শিক্ষিত মানুষগুলো স্বার্থপর অর্থপিশাচ হয়ে দেশের কোটি কোটি টাকা লুট করছে, বিদেশে পাচার করছে? বড় বড় হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসা বিক্রি হচ্ছে যা কেনার সামর্থ্য অধিকাংশ মানুষের নেই। টাকা নেই তো চিকিৎসা নেই। সমাজে কোটি কোটি মানুষ, কিন্তু কোনো বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য করার কেউ নেই। সবাই ভিডিও করছে, কন্টেন্ট বানাচ্ছে। সামাজিক বন্ধন ভেঙে গেছে, পারিবারিক বন্ধনও ভেঙে যাচ্ছে। গুটিকয় মানুষ সম্পদের পাহাড় গড়ছে আর অধিকাংশ মানুষ দ্রব্যমূল্যের সাথে পাল্লা দিতে না পেরে গোপনে কাঁদছে। বাজারভর্তি পণ্য, কেনার সামর্থ্য নেই। মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। তিন বছরের শিশু ধর্ষিত হচ্ছে, ষাট বছরের বৃদ্ধাও গণধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এই কি সভ্যতা? বস্তুগত উন্নতির পাশাপাশি পাশ্চাত্যের বস্তুবাদী সভ্যতার এই ব্যর্থতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে হেযবুত তওহীদ। পাশ্চাত্য মোহে অন্ধ যারা তাদের চোখ খুলে দিচ্ছে। আমরা বলছি, এই ভারসাম্যহীনতার সমাধান মানুষের তৈরি কোনো জীবনব্যবস্থা করতে পারে নি। এমন বিধান দিতে পারেনি যা মানুষকে একই সাথে আত্মিক, নৈতিক, মানবিক ও জাগতিক সর্বদিক থেকে উন্নত করবে। সেটা করেছিল স্রষ্টার দেওয়া জীবনব্যবস্থা যাকে আমরা ধর্ম বলি। ধর্মের মূল চাওয়া মানুষকে দাড়ি টুপি রাখানো না, পূজা উপাসনা করানো না। ধর্মের মূল উদ্দেশ্য মানুষ দরজা খুলে ঘুমাবে। পাশ্চাত্য ধর্মহীন সভ্যতার আগে হাজার হাজার বা লক্ষ লক্ষ বছর মানুষ আল্লাহর হুকুম তথা শাস্ত্রের অনুশাসন মেনেছে। তার অধীনে বহু বড় বড় সভ্যতা গড়ে উঠেছে যেখানে মানুষ শান্তিতে থেকেছে, আধ্যাত্মিক ও মানবিক চরিত্রেও উন্নত হয়েছে, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষও সাধন করেছে। ধর্মের সেই শিক্ষার প্রভাবে মানুষ সৎ হয়েছে, কারণ সমাজে সততার মূল্যায়ন হয়েছে। এখন প্রতিষ্ঠার মূল্যায়ন হয়, সততাকে জলাঞ্জলি দিয়ে তাই মানুষ অর্থের পিছু নিয়েছে। আইনের চোখ ফাঁকি দিতে পারলেই সবাই দুরাচারী শয়তান হয়ে উঠছে। গণতন্ত্র, ধর্মহীনতা, ধর্মনিরপেক্ষতা এর সমাধান কীভাবে করবে?

হেযবুত তওহীদ এগিয়ে এসেছে এর সমাধান নিয়ে। সবাই তার নিজ নিজ ধর্মবিশ্বাস এবং অবিশ্বাস নিয়ে নিরাপদে একত্রে বাস করতে পারবেন, নিজ মত প্রকাশের পূর্ণ স্বাধীনতা পাবেন, লিঙ্গ বৈষম্য থাকবে না, সাম্প্রদায়িকতা থাকবে না, কারো ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হবে না, এমন একটি মানবিক সমাজ গড়ে তোলার পথ হেযবুত তওহীদের এমাম প্রস্তাব করছেন। তাঁর সঙ্গে একাত্ম হয়ে তাঁর দেওয়া রোডম্যাপ অনুসরণ করে সেই সমাজ বিনির্মাণের জন্য সকল ধর্মের প্রতিনিধি ও অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানাতেই এসব অনুষ্ঠান করে যাচ্ছে হেযবুত তওহীদ। আল্লাহর রহমে আগত অতিথিরা আমাদের বক্তব্য বুঝতে পারছেন, আমাদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা থেকে মুক্ত হচ্ছেন- এটাই আমাদের প্রাপ্তি।

[লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক; যোগাযোগ: ০১৬৭০১৭৪৬৪৩, ০১৭১১০০৫০২৫, ০১৭১১৫৭১৫৮১]