
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তে শূন্য রেখায় গভীর রাতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে ভারতীয় বিএসএফ। এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি।
রবিবার গভীর রাতে ছোট গাড়ল ঝড়া ক্যাম্পের ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা ভুরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের ৯ এস-এর ৯৭৮ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশে একটি ইউক্যালিপটাস গাছে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে।
সোমবার ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করে স্থানীয় মুসল্লিরা দেখতে পান, বাংলাদেশের দিকে তাক করা একটি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হলে বিজিবি বিএসএফকে ডেকে টানা দেড় ঘণ্টা আলোচনা করে এর কড়া প্রতিবাদ জানায় এবং দ্রুত ক্যামেরা অপসারণের দাবি জানায়। তবে একাধিক আলোচনা সত্ত্বেও সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্যামেরা খুলে নেয়নি বিএসএফ।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী সীমান্তে অবস্থিত ২০০ বছরের পুরাতন আলোচিত একটি মসজিদ পুনর্নির্মাণের কাজ চলছে। এই মসজিদকে কেন্দ্র করেই বিএসএফ মসজিদের সন্নিকটে রাতের আঁধারে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে, যা স্থানীয়দের নিরাপত্তার সংকট সৃষ্টি করেছে।
দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কফিলুর রহমান জানান, "আমাদের এই মসজিদটিতে ভারত ও বাংলাদেশের মানুষ একসাথে জামাতে নামাজ আদায় করেন। মসজিদটি আমাদের পূর্বপুরুষরা স্থাপন করেছেন। দেশভাগের সময় গ্রামের মাঝ দিয়ে সীমান্ত রেখা টানা হলেও আমাদের সম্পর্ক ভাগ হয়নি। তখন থেকেই আমরা একই মসজিদে নামাজ পড়ি। মসজিদটি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে বিএসএফ দফায় দফায় বাধা দিয়ে আসছে। তাদের বাধার মুখে দুই বছর ধরে মসজিদের নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। এবার রাতের আঁধারে তারা সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে, যা আমাদের মধ্যে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করেছে।"
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মাসুদুর রহমান জানান, শূন্য রেখায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে বিএসএফকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, এবং তারা ক্যামেরা অপসারণের আশ্বাস দিয়েছেন।